parbattanews

রংগীখালীতে অসহায় ১৩৫ পরিবার পেল খাদ্য সহায়তা

করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন হ্নীলা রংগীখালী সম্মিলিত অসহায় মানুষের পাশে আমরা নামে একটি সংগঠন। পুরো ৭নং ওয়ার্ডের এমন অসহায় প্রায় ১৩৫ পরিবারকে ১৫ কেজি করে চাউলসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য তুলে দেন এই পরিষদ।

জানা গেছে, ৪ এপ্রিল (শনিবার) স্থানীয় রংগীখালী মাদ্রাসার মাঠে এলাকার করোনায় ঘরবন্দি সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মাঝে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। অসচ্ছল মানুষদের হাতে তুলে দেন চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ, তেল ও সাবান।

৭নং ওয়ার্ড রংগীখালীর চাকরীজীবী, সাংবাদিক, ছাত্র, প্রবাসী, সমাজসেবক ও ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগেই এলাকার এসব অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়ান।

উদ্যোক্তারা বলেন, আমাদের অনেক বেশি অর্থকড়ি নেই। এলাকার কিছু ভাইবন্ধু আছে, তাদের নিয়ে ফান্ড তৈরি করেছি। সেখানে হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট হয়েছে। এলাকার সচেতন সর্বস্তরের চাকরীজীবীসহ সবাই মিলিত হয়ে কমপক্ষে তিন-চারদিন যেন একটা পরিবার চলতে পারে সেভাবেই খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।

নাগরিক পরিষদের উদ্যোক্তারা আরেও জানান, ‘আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে, সবাই ১০০ থেকে শুরু করে কিছু টাকা দিয়ে ফান্ড করা কিছু বড় ভাই এবং বন্ধুদের সহযোগিতায় চেষ্টা করেছি কিছু খেটে খাওয়া মানুষকে সহযোগিতা করার।

‘এই করোনা ভাইরাস ইনশাআল্লাহ্ থাকবে না, থাকবে আমাদের কর্ম। মনে পাবো শান্তি। তাই আসুন আমরা যার যার জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই, এই সাধারণ মানুষদের জন্য। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।’ ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করেন-সাংবাদিক জসিম উদ্দিন টিপু, জাফর আলম সাদেক, জামাল সাদেক রিফাত।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মামুনুর রশীদ, দেলোয়ার হোসেন রাজু, শাহজাহান, সমাজসেবক হেলাল উদ্দিন, বশির আহমদ ও সাংবাদিক নাছির উদ্দিন রাজ প্রমুখ।

ত্রাণ নিতে আসা ৭নং ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়ার মাটিং বলেন, এরকম ত্রাণ কোনদিন দিতে দেখিনি। এলাকার সচেতন নাগরিকরা এ কঠিন মুহুর্তে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এ জন্য কৃতজ্ঞ। আমরা রাখাইন সম্প্রদায় অত্যান্ত খুশি।

অসহায় পঙ্গু হেলাল, অসহায় রাবেয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সকালে রান্না করার ভাত ছিল না পাশের বাড়ি থেকে আধা কেজি চাউল ধার নিয়ে চুলায় আগুন দিয়েছি। সন্তানদের দুমুটো ভাত দিয়ে ত্রাণের জন্য এসেছি। আপনাদের থেকে পাওয়া ত্রাণ নিয়ে অনায়াসে ১০ দিন খেতে পারবো। আপনাদের জন্য বেশি বেশি দোয়া করছি। ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক ছৈয়দ আলম।

Exit mobile version