parbattanews

রংগীখালী রাস্তার মাথায় ৪০ বছরেও যাত্রী ছাউনি স্থাপন হয়নি : চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

 

কক্সবাজার প্রতিনিধি : 

টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের অন্যতম শিক্ষা নগরী নামে খ্যাত ও সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রের নাম রংগী খালী। এখানে একটি ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা, একটি কলেজ নির্মাণাধীন, একটি বিশাল বাউন্ডারি সমৃদ্ধ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অসখ্য ফোরকানিয়া ও ছোট ছোট মক্তব রয়েছে। আর রংগীখালী রাস্তার মাথায় তিনবারের জাতীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত এ্যাকোয়া কালচার নামে একটি প্রজেক্ট রয়েছে। সবমিলিয়ে জেলা উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীরা ও বাহির থেকে বিভিন্ন ছাত্র/ছাত্রীরা এই রংগীখালীতে পড়ালেখা করতে আসে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার মেইন ফটকে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার মাথায় একটি যাত্রী ছাউনি না থাকার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ইতিপূর্বে অনেক রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপি ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা রাস্তার মাথায় যাত্রী ছাউনি স্থাপনের আশ্বাস দিলেও তা অদ্যবধি কোন কিছুই হয়নি। রংগীখালী মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা য়ায়, দীর্ঘদিনধরে অনেক দায়িত্বশীল নেতারা ভোটের সময় বড় বড় গলায় কথা বলে ভোট নিয়ে চলে যাই। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়না। বর্তমানে একটি যাত্রী ছাউনি স্থাপন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর প্রাণের দাবীতে পরিণত হয়েছে। ইতিপূর্বে স্বাধীনতা পরবর্তী সমস্ত নেতা ও এমপি মন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসন জোরালো আশ্বাস দিলেও এখনো উন্নয়নের আলোর মুখ দেখেনি।

টেকনাফ উপজেলার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ২০০৪ সালে রাষ্ট্রপ্রতি কর্তৃক জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মাদ্রাসা, রাস্তার মাথায় একশ গজের ভিতরে নির্মাণাধীন মইনুদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ, রংগী খালী খদিজাতুল কোবরা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাস্তার মাথার পুর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে তিনবারের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এ্যাকোয়া কালচার লিমিটেড, গাজী পার্কে ভ্রমনে আসা দর্শনার্থীসহ এলাকায় দেশ বিদেশ থেকে বেড়াতে আসা মানুষের নিরাপত্তা ও আশ্রয় নেওয়ার কোন জায়গা নেই।

এ ব্যাপারে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাষ্টার মীর কাশেম বলেন, আমি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি খুব দ্রুত কাজের ও স্থান নির্ধারণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাব।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে লিখিত আবেদন পেলে দ্রুত যাত্রী ছাউনি নির্মাণে পদক্ষেপ নেব।

Exit mobile version