রক্তের হোলি খেলা বন্ধে পুলিশকে কঠোর হতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ

fec-image

রক্তের হোলি খেলা বন্ধে পুলিশকে আরো কঠোর হতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে যেন আর কোন রক্ত না ঝরে। আরো কঠোর হোন। আর কোন সহিংসতা দেখতে চাই না। রক্তের হোলি খেলা চলবে না। যেভাবেই হোক এসব বন্ধ করুন। এখানে পর্যটক আসেন। তারা যেন ভীতসন্ত্রস্ত না হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আগের মতো তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, এখন স্বপ্নের দেশ। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সুন্দরবন দেখার জন্য মানুষ লাইন ধরে। সবগুলো বিনোদনস্পটে দেশি-বিদেশি পর্যটকে ভরপুর থাকে। কারণ, দেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ি নাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সমৃদ্ধির পথে। একটা রূপের দেশ বাংলাদেশ। ফলমূলে আমরা সমৃদ্ধ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেলে প্রশ্ন করে, তোমাদের প্রধানমন্ত্রীর ম্যাজিকটা কি? প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা, যোগ্য নেতৃত্বে দেশটি অনেক উচু স্তরে। ২২৭০ ডলারে মাথাপিছু আয়। এতগুলো হোটেল, কোথাও খালি নাই।

রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিহার করুন, মাদক পাচার বন্ধ না করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। রক্তপাতে মেতে উঠবেন। আশ্রয় নিয়েছেন, থাকছেন ভালভাবে থাকেন। না হলে আইনগত ব্যবস্থা।

কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম নিরবচ্ছিন্ন বালুকাময় সমুদ্র সৈকত জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে ব্র্যান্ডিং করতে চাই। কক্সবাজারকে বিশ্বে তুলে ধরার মাধ্যমে পর্যটন আকর্ষণ বাড়াতে কাজ করছে বর্তমান সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বিশ্বমানের পর্যটন সেবা ও নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট ‘ট্যুরিস্ট পুলিশ’ আত্মপ্রকাশ করে।

তাদের দক্ষতায় এখন রাতে সৈকতও নিরাপদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে রাতে তেমন একটা মানুষ নামতো না। কিন্তু ট্যুরিস্ট পুলিশের দক্ষতায় এখন সেটাও সম্ভব হয়েছে। রাতেও প্রচুর দেশি-বিদেশী পর্যটক সৈকতে নামেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোর্শেদুল আনোয়ার খান। ২০১৫ সালে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত পুলিশ সদস্য পারভেজকে স্মরণ করেন তিনি। ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকাণ্ডের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর যাত্রা শুরু ট্যুরিস্ট পুলিশের। পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা সহকারে কাজ করছে।

এসময় জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার আগে সৈকতের সুগন্ধা থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত বিচ বাইক র‌্যালিতে অংশ নেন মন্ত্রী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন