parbattanews

রত্নাপালং ইউপি‘তে দলিয় প্রার্থীর চেয়ে ব্যক্তি ইমেজে স্বতন্ত্র প্রার্থী এগিয়ে

উখিয়া প্রতিনিধি:

উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা বেশ জোরে শুরে চালিয়ে যাচ্ছে প্রার্থীরা। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীত একক প্রার্থীর চেয়ে ভোটারদের গ্রহণ যোগ্যতার চেয়ে ব্যক্তি ইমেজ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, রত্নাপালং ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১৫ হাজার ১শ ২২ জন। সাড়ে ৩ হাজারের অধিক ভোট পেলেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া যায়। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। প্রার্থীরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী খাইরুল আলম চৌধুরী (ঘোড়া), আওয়ামী লীগ মনোনীত নুরুল হুদা (নৌকা) বিএনপি একক প্রার্থী নুরুল কবির চৌধুরী (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা আব্বাস উদ্দিন (আনারস)।

ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নাগরিক সমর্থিত প্রার্থী খাইরুল আলম চৌধুরীর নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। এছাড়াও বৃহত্তর ভালুকিয়া ও পূর্বাঞ্চল এলাকার ভোটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে খাইরুল আলম চৌধুরী। সবখানে তার জয়ের ধ্বনী শুনা যাচ্ছে। এছাড়াও অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী ও জনগণের পরোপকারীতা নেতা হিসাবে বেশ পরিচিত তিনি। সকলের অভিমত চেয়ারম্যান প্রার্থী খাইরুল আলম চৌধুরী হচ্ছে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীর একজন। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তি ইমেজ নিয়ে প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগে এবং ভোটারদের ব্যাপক সমর্থনে খাইরুল আলম চৌধুরী বেশ এগিয়ে।

আওয়ামী লীগ মনোনীত নুরুল হুদা একক প্রার্থী হলেও নেতাকর্মীরা নিষ্কৃয় থাকায় একটু পিছিয়ে পড়েছে তিনি। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছে। নেতাকর্মীরা একযোগে কাজ করলে কিছুটা অগ্রসর হতে পারে। তবে সংখ্যালুঘু ভোটাররা নৌকার পক্ষে গেলে তিনিও ফ্যাক্টর হতে পারে। বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী সরাসরি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও ২০ দলীয় সমর্থিত হিসাবে পরিচিত। তবে এবার তিনি বিএনপির একক প্রার্থী হিসাবে ধানের শীষ মার্কা নিয়ে নির্বাচন করছে। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে রত্নাপালং ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিধান্দ্ব ও বিভক্ত হয়ে গেছে।

বিলুপ্ত করা হয়েছে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি। এ নিয়ে দলের অভ্যন্তরীন কোন্দল বেড়ে গেছে। চেয়ারম্যান থাকা কালে দৃশ্যমান উন্নয়ন মূলক কাজ করায় ভোটারদের কাছে নুরুল কবির চৌধুরীর জনপ্রিয়তা একটু বেড়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য আব্বাস উদ্দিন অনেকটা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তিন তিন বার সাবেক এ চেয়ারম্যানের সবখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভোট রয়েছে। শান্ত ব্যক্তি হিসাবে তার গ্রহণ যোগ্যতা বেশ ভাল। সচেতন ভোটারদের অভিমত আগামী ৪ জুন নির্বাচন দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে শেষ হাসি কে হাসে।

Exit mobile version