parbattanews

রামুর গর্জনীয়ায় দুই সহোদর খুনের স্থানে নির্মাণ হচ্ছে কোরআন শিক্ষাগার

At- Madrasha

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:

রামুর গর্জনীয়ার বড়বিল গ্রামে অপহরণকারীদের হাতে খুন হওয়া সহোদর শিশু শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হাসান শাকিল ও মোহাম্মদ হোছাইন কাজলের নামে হত্যাকান্ডের স্থানে কোরআন শিক্ষার হেফজখানা ও নূরানী মাদ্রাসা তৈরির ঘোষণা দিয়ে তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে চায় এলাকাবাসী। গত ১৯ জানুয়ারি অপহরণকারীরা বড়বিল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফোরকানের এ দুই ছেলে কে নির্মম ভাবে শ্বাষরুদ্ধ করে হত্যা করে। তাদের মধ্যে হাসান নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী শাহ্ নুরুদ্দীন দাখিল মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ও হোসাইন নারিচবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

যেই স্থানে দুই শিশুকে অপহরণ করে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল সেই স্থানে হাসান-হোসাইনের নামে হেফজখানা ও এতিমখানা করার ঘোষণা দেয় এবং বর্তমানে হেফজখানা নির্মাণ কাজ শুরুর অপেক্ষায়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াহিয়া চৌধুরী ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি মোহাম্মদ ইউনুছ মাতবর বলেন, এলাকাবাসী চায় হত্যাকান্ডের স্থানটিতে দুই সহোদরের নামে একটি হেফজখানা করা হোক। এলাকাবাসীর এই মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আমরা ইতিমধ্যে উক্ত জায়গায় হেফজখানা ও নূরানী মাদরাসা স্থাপনের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছি এবং শীগ্রই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান।

রামু উপজেলার অপরাধীদের অভয়ারণ্য ছিল এই বড়বিল। এসব চিহ্নিত ডাকাতরা এলাকার গুটিকয়েক গডফাদারের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি, অপহরণ, চুরিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসলেও এলাকায় প্রকাশ্যে অপরাধ সংঘটিত করার সাহস পায়নি। কিন্তু অপহরণকারীরা টাকার প্রলোভনে পড়ে দুই শিশুকে নির্মম ভাবে হত্যার পর সাধারণ মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়।

বর্তমানে এলাকাবাসীরা ডাকাতের আস্তানায় কোরআন শিক্ষার কেন্দ্র করার উদ্যোক্তাদের অন্যায়ের সাথে আপোষ না হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহবানসহ দুই সহোদর হত্যার সাথে জড়িত খুনিদের দ্রুত ফাঁসির দাবি ও আশ্রয়-পশ্রয়দাতা রাঘববোয়ালদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

Exit mobile version