পরকীয়া প্রেমের জের ধরে গার্মেন্টস কর্মীকে হত্যা: আটক ২

fec-image

দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেমের জের ধরে খুন হলেন কাউখালীর সীমান্তবর্তী রাউজান জয়গর গুচ্ছগ্রাম এলাকার সাইদুল ইসলামের স্ত্রী শাহানা আক্তার (৩২)। ৫ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় কাউখালীর বেতবুনিয়া মনাইপাড়া মূখছড়ি জঙ্গলে এঘটনা ঘটে।

হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে কাউখালী থানা পুলিশ স্বামী ও পরকীয়া প্রেমিকসহ দুইজনকে আটক করেছে। এব্যাপারে শাহনার বাবা বাদী হয়ে কাউখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

কাউখালী থানার ওসি মো. শহিদ উল্লাহ পিপিএম জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাউজান জয়নগর এলাকার বাসিন্দা সিএনজি চালক মো. সাইদুলের স্ত্রী শাহনা আক্তার (৩২)’র সাথে পূর্ব জয়নগর বড়ুয়া পাড়ার কালু বড়ুয়ার ছেলে সুজন বড়ুয়ার পরকীয়া প্রেম চলে আসছিলো। ৪ এপ্রিল চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করা দুই সন্তানের জননী শাহনা বাড়ীতে এসে এক সন্তানকে নিয়ে সরাসরি পরকীয়া প্রেমিক সুজন বড়ুয়ার বাড়ীতে চলে যায়। খবর পেয়ে ঐদিন সন্ধ্যায় শাহনার স্বামী সাইদুল সুজনের বাড়ীতে গিয়ে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আসতে যায়। কিন্তু স্ত্রী রাজী না হওয়ায় এবং প্রেমিক সুজন বড়ুয়ার বাঁধার মুখে শুধু সন্তানকে নিয়ে চলে আসে সাইদুল। এ নিয়ে সাইদুল ও সুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা এমনকি হাতাহাতিও হয়।

রাত দশটায় সাইদুল স্ত্রীকে আনতে পুনরায় তার আত্মীয় স্বজন নিয়ে সুজন বড়ুয়ার বাড়ীতে যায়। এতেও তার স্ত্রী শাহনা আসতে রাজী না হওয়ায় দ্বিতীয় দফা সুজন বড়ুয়ার সাথে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে এবং স্ত্রী ছাড়া খালি হাতে ফিরে আসে। ৫ এপ্রিল সকালে প্রেমিক সুজন বড়ুয়ার বাড়ি থেকে শাহানা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়ে যায়।

৫ এপ্রিল সন্ধ্যা সাতটায় কাউখালীর বেতবুনিয়া মনাইপাড়ার মুখছড়ি এলাকায় শাহানাকে মূমুর্ষ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ শাহনাকে উদ্ধার করে রাউজান হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর আগে শাহানা সুজন বড়ুয়া ছাড়া কারো নাম বলতে পারেনি। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে কাউখালী থানা পুলিশ রাউজান পুলিশের সহায়তায় জয়নগর এলাকা থেকে স্বামী সাইদুল ইসলাম ও প্রেমিক সুজন বড়ুয়াসহ দুইজনকে আটক করেছে। এব্যাপারে শাহনার বাবা বাদী হয়ে কাউখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ওসি মো. শহিদ উল্লাহ পিপিএম জানিয়েছেন, আটকৃতদের আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তিনি জানান, রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদঘাটন করা যাবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন