parbattanews

রাখাইনে তিনটি যুদ্ধজাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি বিদ্রোহীদের

মিয়ানমারের রাখাইনভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রাখাইনের প্রাচীন রাজধানী ম্রাউক-ইউ পুরোপুরি দখল করেছে। এছাড়া তারা নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধ জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে— গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিদ্রোহীদের জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়ন্স এমন দাবি করেছে।

বিবৃতিতে জোটটি বলেছে, “আরাকান আর্মির যোদ্ধারা রাখাইনের ম্রাউক-ইউতে জান্তার সর্বশেষ ঘাঁটি ৩১তম পুলিশ ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে। এই ব্যাটালিয়ন প্রায়ই বেসামরিকদের হয়রানি এবং স্থানীয় ঐতিহাসিক অবকাঠামো ধ্বংস করত।”

“৫৪০তম, ৩৭৮তম লাইট ইনফ্রেন্টারি ব্যাটালিয়ন পূর্বেই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে ছিল। যোদ্ধারা অবশেষে ম্রাউক-ইউর ৩১তম পুলিশ ব্যাটালিয়নের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এর মাধ্যমে পুরো ম্রাউক-ইউ তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।”

“এছাড়া আরাকান আর্মির যোদ্ধার নদীতে তিনটি যুদ্ধজাহাজ ডুবিয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে এবং আরেকটি যুদ্ধজাহাজ পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে।”

বিদ্রোহীদের এ জোটটি আরও দাবি করেছে, ২০২৪ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আরাকান আর্মির যোদ্ধারা সাতটি যুদ্ধ জাহাজে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। যার সবগুলো এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া রাখাইন সাগরে জান্তা বাহিনীর তিনটি যুদ্ধজাহাজ আটক করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা।

এছাড়া জান্তাবাহিনীর অনেক সেনা জাহাজে করে পালিয়ে গেছে। যদিও তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ নির্দেশনা না মানায় আরাকান আর্মির যোদ্ধারা জান্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।

বিবৃতিতে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স আরও জানিয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন ছিল। কারণ ওইদিন আরাকান আর্মি জান্তা বাহিনীকে সুমদ্রের যুদ্ধে হারিয়েছে।

রাখাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি আরাকান আর্মির যোদ্ধারা নাগু মও-মংডু মহাসড়কে অবস্থিত কো টান কোওয়াক গার্ড ক্যাম্পে হামলা চালায়। এই গার্ড ক্যাম্পের পাশের দুটি ক্যাম্প থেকে জান্তা বাহিনী গত বছরের নভেম্বরেই পালিয়ে গিয়েছিল।

এছাড়া রাথডংয়ে নিজেদের ঘাঁটি বাঁচাতে সেনারা কামান ও বিমান হামলা চালিয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করতে বিভিন্ন জায়গায় মেশিন গান থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে নারিনজারা নিউজ।

সূত্র: নারিনজারা নিউজ

Exit mobile version