parbattanews

রাঙামাটিতে ঐতিহ্যবাহী ফুড এন্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যাল

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে রাঙামাটিতে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ফুড এন্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে।

আগামী ১-৩ ফেব্রুয়ারি জেলার চিং হ্লা মং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ০৮টা পর্যন্ত ফুড এন্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালের কার্যক্রম চলবে।

পার্বত্য তিন জেলার ১৬ সম্প্রদায়ের রসনাবিলাসসমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী বাহারি খাবারসামগ্রী পরিবেশনসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পার্বত্য সংস্কৃতি প্রতিফলনের লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োন করা হয়।

১ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাঙামাটি-২৯৯ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব দীপংকর তালুকদার, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো. মশিউর রহমান এনডিসি। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা, তত্ত্বাবধান ও সভাপতিত্বে করবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত (অব.) জনাব সুপ্রদীপ চাকমা।

পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চগ্যা, বাঙ্গালি, অহমিয়া, খেয়াং, খুমি, গুর্খা, চাক, পাংখোয়া, বম, লুসাই, রাখাইন এবং সাঁওতালসহ ১৬টি সম্প্রদায় তাদের সুস্বাদু খাবার সামগ্রীসমূহ নিয়ে ঐতিহ্যবাহী এ ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করবে।

রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই তিন জেলা নিয়ে দেশের এক দশমাংশ অঞ্চলের অন্যতম পর্যটন এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম। বাংলাদেশের ফেস্টিভাল অঞ্চল হিসেবে খ্যাত পার্বত্য চট্টগ্রাম। এ অঞ্চলের ঐতিহ্য ও ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসকারী সকল সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী বাহারি খাবারের সমাহার, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। এ অঞ্চলে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী খাবারসহ কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নয়নে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে। পাশাপাশি এ ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে দেশের পর্যটন সম্পদের সম্ভাবনা আগের চেয়ে অধিকতর প্রসারিত ও বিকশিত হবে। এছাড়া এ কার্যক্রমের মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসকারী সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের এ বর্ণিল আয়োজনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে গণমাধ্যম তথা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ফেইসবুক, টুইটার, লিংকডইন, ইউটিউবসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণার বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

Exit mobile version