parbattanews

রাঙামাটিতে করোনা রোগীদের রিপোর্ট আসেনি, কোয়ারেন্টিনে ডাক্তার-নার্সসহ ১৫ জন

রাঙামাটিতে করোনা আক্রান্ত ৪ রোগীসহ তাদের পরিবার মিলে মোট ১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার (৭ মে) চট্টগ্রাম ভেটেরেনারী ও এ্যানিমেন্স সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছিলো।

শুক্রবার (৮ মে) সন্ধ্যায় পাঠানো সেই রিপোর্ট হাতে এসে এখনো পৌছেনি বলে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন, রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন অফিসের করোনা ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. মোস্তফা কামাল।

ডা: মোস্তফা বলেন, বুধবার যে চারজনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছিলো তারা সকলে এখনো সুস্থ্য আছেন। তাদের মধ্যে কোন সমস্যা এখনো দেখা যায়নি।

ডা. মোস্তফা জানান, আক্রান্তদের মধ্যে রাঙামাটি সদর হাসপাতালের একজন নার্সও আছেন। তার সংস্পর্শে থাকায় ডাক্তার, নার্স এবং কর্মচারী মিলে সর্বমোট ১৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তারা আগামী ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তারা স্ব-স্ব কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রাঙামাটিতে সর্বমোট কোয়ারেন্টিনে ছিলো ২০৪৫ জন। এর মধ্যে- প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ৬৩০ এবং হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলো ১৪১৫ জন। ১৬৮৬ জনের কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ৩৫৯জন।

সর্বশেষ নমুনা পাঠানো হয়েছে ৩৬২জনের। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ২৩৫জনের। কোভিট-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে ৪ জনের এবং নেগেটিভ পাওয়া গেছে ২৩১জনের। রিপোর্ট পাওয়া বাকী আছে ১২৭ জনের। তবে রাঙামাটি শহরে আইসোলোশনে কোন রোগী না থাকলেও রাজস্থলী উপজেলায় আইসোলেশনে রয়েছেন ৩জন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাঙামাটিতে কেউ মারা যাননি বলে সূত্রে জানা গেছে।

পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি এতদিন ছিলো করোনামুক্ত। হঠাৎ করে বুধবার দুপুরে একজন নার্সসহ ৪ জন করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে। বুধবার (৬ মে) চট্টগ্রাম ভেটেরেনারী ও এ্যানিমেন্স সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে নমুনা পরিক্ষায় তাদের রিপোর্ট পভিটিভ আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নার্স (নারী),  একজন শিশু, একজন যুবক এবং একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ রয়েছেন।

Exit mobile version