‘রাঙামাটিতে চাহিদার তুলনায় মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে’

fec-image

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তর রাঙামাটি কার্যালয়ের সাথে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে রাঙামাটি জেলা পরিষদের মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের মৎস্য উন্নয়ন বৃদ্ধিকল্পে ২০২২-২০২৪ অর্থবছরে ১১৮ কোটি টাকা ব্যায়ে তিন পার্বত্যজেলার ২৬ উপজেলায় ক্রিক, জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনের জন্য কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ বৃদ্ধি করার কাজ চলছে। এ ছাড়াও বাণিজ্যিক আকারে কাঁকড়া এবং কুচিয়া চাষ সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

এসময় আরও বলা হয়, রাঙামাটির মানুষের জন্য ৬০ পার্সেন্ট মাছের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে ৬২ পার্সেন্ট মৎস্য উৎপাদন হচ্ছে। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় অধিক মৎস্য উৎপাদন হচ্ছে জেলায়।

সভায় বলা হয়, করোনার কারণে কর্মসূচি কিছুটা ধীরগতি ছিলো। তবে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চাষীদের মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে মাছের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। কাপ্তাই হ্রদে যেসব মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে সেইসব মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।

মৎস্য অধিদপ্তর রাঙামাটি জেলা কার্যালয়ের মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র এর সভাপতিত্বে এসময় সভায় আলোকপাত করেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াছিন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক নৌবাহিনীর কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম এবং মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়া। সভায় সাংবাদিকরা মৎস্য উন্নয়নের ব্যাপারে নানা মত পোষণ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন