parbattanews

রাঙামাটিতে ট্যুরিজম সামিট উৎসব

Rangamati chembar pic06

স্টাফ রিপোর্টার:

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাঙামাটিতে ইন্টারন্যাশনাল ট্যুারিজম সামিট উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উৎসবকে ঘিরে পাহাড়ী জনপদ রাঙামাটির আরণ্যক পর্যটন স্পটে আনন্দের বন্যা বইছে।

উৎসবের অংশ হিসেবে ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্ঠীদের সাংস্কৃৃতিক গোষ্ঠী চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, পাংখোয়া, চাক, বম, তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য-সঙ্গীত মাতিয়ে তুলে পুরো আরণ্যক। এ সময় সৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ী-বাঙালীসহ সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রীতির মিলন ক্ষেত্র।

সোমবার দিনব্যাপী চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের শতবর্ষপূর্তি ও ওর্য়াল্ড ট্রেড সেন্টারের উদ্বোধন উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার শেষ দিনে রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের পর্যটক স্পট আরণ্যকে এ উৎসবের আয়োজন করা হয় ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি র আ ম ওবায়দুর মোকতাদির চৌধুরী এমপি, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন, চট্টগ্রামের এমপি এম এ আব্দুল লতিফ, এমপি দিদারুল আলম দিদার, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, সহ-সভাপতি নুরুল নেওয়াজ ওরাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ মিয়ানমার, জাপান ও চিনের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের পর্যটনকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দবানের নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আর এখানকার বসবাসরত ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে বিকশিত করে পর্যটন সম্ভাবনাকে গড়ে তুলতে হবে। এ সুবিধা সৃষ্টি করা গেলে দেশের পর্যটন শিল্পের আরো প্রসার ঘটবে।

তিনি বলেন, সরকার ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করেছে। এ আলোকে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারের পর্যটনের উন্নয়নে যে কোন উদ্যোগকে সরকার সব রকম সহায়তা দেবেন বলেও উল্লেখ করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী।

Exit mobile version