parbattanews

রাঙামাটিতে ধৃত আরাকান আর্মির সহযোগীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

(আপডেইট)

Arakhan pic1

স্টাফ রিপোর্টার:

রাঙামাটিতে আটক আরাকান আর্মির সহযোগী মং অং থানকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রবিবার তাকে রাঙামাটি জেলা দায়রা জজ সাবরিনা আলীর আদালতে উপস্থাপন করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

এর আগে রবিবার রাঙামাটিতে মিয়ানমারের নাগরিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সহযোগী আটক করে পুলিশ। আটককৃত আসামী নাম- মং অং থান (৩৬)এ পিতা-উপ্রিথি হ্লা, মাতা দো ছে প্রু মা। সে মিংকেং কোয়াটার-২বি ব্লক, হাউজ নং-০৫, আখিয়াব, আরাকান স্ট্রেট, মিয়ানমারের বাসিন্দা।

রাঙামাটি কোতয়ালী থানার কর্মকর্তা মো. রশিদ জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বনরূপা একটি খাবারের দোকানে মিয়ানমারের একজন নাগরিক অবস্থান করছে বলে খবর পাওয়া যায়। পরে পুলিশ এসে সে ব্যক্তিকে তার পরিচিত জানতে চায়।

কিন্তু সে সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে না পারায় তার তল্লাশী করে পুলিশ। এসময় তার প্যান্টের পকেট থেকে বাংলাদেশের একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ও জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক হাই কমিশন (ইউএনএইচসিআর) কার্ডসহ মিয়ানমারের নাগরিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির অভিযুক্ত শীর্ষ নেতা ডা.রেনিন হাতের লিখা চিটিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া যায়।

তাকে আটক করে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় প্রার্থমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মিয়ানমারের নাগরিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সহযোগী বলে স্বীকার করে। ২০০১ সালে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কক্সবাজার, বান্দরবানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে। তাছাড়া ২০০৮ সালে সে তার প্রকৃত না ঠিকানা গোপন করে কক্সবাজার জেলার নাগরিক দেখিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহন করে।

পরবর্তীতে ২০১৫ সালে সে শরানার্থী হিসেবে জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক হাই কমিশন (ইউএনএইচসিআর) কার্ড সংগ্রহ করে। তার বিরুদ্ধে বিদেশিক নাগরিক অনুপ্রবেশ আইনে মামলা নং-৮৪১, তারিখ-১৯/০৩/২০১৬ইং করা হয়। অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে ১০দিনে রিমান্ড আবেদর করার কথা রয়েছে বলে জানান পুলিশ।

রাঙামাটির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ শহিদ উল্লাহ জানান, রাঙামাটিতে গ্রেফতার মিয়ানমারের নাগরিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির শীর্ষ নেতা অভিযুক্ত ডা. রেনিনকে আইনী সহযোগিতা করার জন্য রাঙামাটি এসেছে বলে প্রার্থমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার মং অং থান। রিমান্ডে নেওয়ার পর হয়তো আরও বেশ কিছু তথ্য বেড়িয়ে আসতে পারে।

উল্লেখ্য,২০১৫ সালে ২৬ আগষ্ট রাতে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলা কলেজ পাড়া থেকে একটি বিলাশ বহুল পাকা ভবনে অভিযান চালিয়ে আরাকন আর্মির সহযোগি অংনু ইয়ান রাখাইনকে এবং পরদিন বাড়ীর কেয়ারটেকার জসু অং মারমা ও অং সু অং মারমাকে যৌথ বাহিনী আটক করে। এ ঘটনার নাম প্রকাশ প্রায় আরাকান আর্মির র্শীষ নেতা ডা. রেনিনের।

পরে একই বছর ১৪ অক্টোবর বিজিবি ও পুলিশের পৃথক অভিযানে রাজস্থলীর ইসলাম পুর থেকে আটক করা হয়া ডাঃ রেনিন সুয়েকে। তাদের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা করা হয়। বর্তমানে একটি মামলা ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Exit mobile version