parbattanews

রাঙামাটিতে ‘পাকুয়াখালী গণহত্যা’সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩০ হাজার বাঙ্গালী হত্যার বিচার দাবী

news-pic-1-copy

রাঙামাটি প্রতিনিধি:

‘পাকুয়াখালী গণহত্যা’সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল হত্যাকান্ডের স্মরণে রাঙামাটিতে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল করেছে পার্বত্য যুব ফ্রন্ট নামে একটি আঞ্চলিক সংগঠন। আলোচনা সভাটি শুক্রবার সকালে বনরুপা এলাকার একটি রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় পার্বত্য যুব ফ্রন্টের জেলা সহ-সভাপতি মো. খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্যে রাখেন পার্বত্য যুব ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান, জেলা সভাপতি এমএ মান্নান,সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর এবং সাবেক ছাত্র নেতা মো. মহিন প্রমূখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সকল গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল তার মধ্যে পাকুয়াখালী হত্যাকান্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত ও সবচেয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ড যা ১৯৭১ সালের হত্যাকাণ্ডের চেয়েও জঘন্য । এই হত্যাকান্ড পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য একটি কালো অধ্যায়। সেই দিনের হত্যাকান্ডের শিকার পরিবার গুলোকে কোন ক্ষতিপূরণ যেমন দেওয়া হয়নি তেমনি হত্যার কোন বিচারও পায়নি সেসব অসহায় পরিবারগুলো। বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ আজও নিরাপদ নয়। এখনো প্রতিদিন খুন, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে সন্তু লারমার ও তার দোসররা। তাই প্রশাসনকে তা বন্ধের জন্য আরো জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে উল্লেখ করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে জন্য অভিযান পরিচালনা করার জোর দাবিও জানায় নেতৃবৃন্দরা।

অপরদিকে রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় পাকুয়াখালী এলাকায় গণহত্যার বিচারের দাবীতে শোক র‌্যালী করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ। শোক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন  লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  মো. তোফাজ্জল হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাব্বির আহম্মদ।

শোকসভা শুরুর হওয়ার পূর্বে শোক র‌্যালী করেছে বাঙ্গালী নেতা-কর্মীরা। র‌্যালীটি লংগদু উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে লংগদু উপজেলার মাঠে এসে মিলিত হয়। পরে একটি শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।

শোকসভা শেষে সকল গণহত্যার স্বীকার নিহতদের স্মরণে এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

Exit mobile version