parbattanews

রাঙামাটিতে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস পালিত

news pic copy

রাঙামাটি প্রতিনিধি:

রাঙামাটিতে “ইশারা ভাষার উন্নয়নে সচেতন হব প্রতিজনে ” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে জেলা সমাজসেবার আয়োজনে এবং রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় বাংলা ইশারা ভাষা দিবস পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে  রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসেনের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ বিভাগের আহ্বায়ক স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মণি চাকমা, জেলা সমাজসেবার উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আবছার এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য মো. মহসিন রানা প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, রক্তস্নাত বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করেই ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রূপে ঘোষণা করে। এর মূল উদ্দেশ্য পৃথিবীর প্রতিটি দেশের, বিশেষ করে, ক্ষুদ্র ভাষাগোষ্ঠীকে রক্ষা এবং তাদের ভাষার বিকাশ। আমাদের দেশ, ভাষার অধিকার আদায়ের দেশ। ভাষা আদায়ের এ তীর্থভূমিতে বসবাসরত প্রায় ৩০ লাখ শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী মানুষের মনের গহীনের লুকায়িত ভাব প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম ‘বাংলা ইশারা ভাষা’।

সভায় বক্তারা আরও বলেন, ২৭ জানুয়ারি ২০০৯  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বাংলা ইশারা ভাষাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার পরিপত্র জারি করে। একই বছর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, বাংলা ইশারা ভাষা দেশের অন্যতম ভাষা।

তাই বাংলাদেশ সরকারের সাতটি বিশেষ স্কুল আছে। মূক-বধির সমিতির ২৮টি কেন্দ্র আছে। একটি কেন্দ্রে ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। সব মিলিয়ে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে না। শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা যদি কমপক্ষে ৩০ লাখ হয়, এর মধ্যে পাঁচ লাখ স্কুলে যাওয়ার উপযোগী। এ পাঁচ লাখের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে শিক্ষার আওতায় আনা দরকার।

এভাবে শতভাগের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। অন্যথায়, এ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন সম্ভব নয়। কাজেই ‘বাংলা ইশারা ভাষার উন্নয়নে আমাদেরকেই সচেতন হতে হবে। তাহলেই এ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন সম্ভব হবে।

আলোচনা সভার আগে রাঙামাটি শিল্পকলা একাডেমি থেকে একটি র‌্যালি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদিক্ষণ করে রাঙামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়।

Exit mobile version