parbattanews

রাঙামাটিতে মশাল জ্বালিয়ে ৫ সাফজয়ীকে বরণ, আজ সংবর্ধনা

নেপালের কাঠমুন্ডুতে দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসরের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দারুণ জয়ে প্রথমবারের মতো সাফের চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। সাফ নারী ফুটবল গেমসে ছিল পাহাড়ের ৫ নারী খেলোয়াড়। সাফজয়ী সেই পাঁচ নারী ফুটবলারকে মশাল জ্বালিয়ে বরণ করে নিয়েছেন রাঙামাটিবাসী।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নে মগাছড়ি এলাকায় সাফ জয়ী খেলোয়ার ঋতুপর্ণা চাকমার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে তাদের প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ মশাল জ্বালিয়ে বরণ করা হয়।

তারা রূপনা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় বীরসেন তঞ্চগ্যা, শশী মোহন চাকমা ও শান্তি মনি চাকমাসহ দুই শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

তারা বলেন, ঋতুপর্ণা আমাদের গ্রামের মেয়ে। সে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ফুটবল খেলে দেশের সুনাম বয়ে এনেছে। আমরা গর্বিত ওর জন্য। তাই আমরা ঋতুপর্ণা চাকমাসহ বাকিদের বরণ করে নিতে এ আয়োজন করেছি।

ঋতুপর্না চাকমা বলেন, আমরা অনেক দিন পর বাড়ি ফিরেছি। গ্রামবাসী আমাদের এভাবে বরণ করে নিবে আমরা আসার আগেও চিন্তা করে নি। আমরা কৃতজ্ঞ।

আনাই মগিনী বলেন, আমার বাড়ি খাগড়াছড়ি হলেও আমার অনেক বেশি সময় কেটেছে এ ঘাগড়া স্কুলে। এখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাও শিখেছি। আমি ছুটি পেলে বাড়িতে দেখা করার পর এখানে চলে আসি স্যারদের সঙ্গে সময় কাটাই। আমরা যারা আজ দেশের হয়ে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছি আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

বীরসেন তঞ্চগ্যা বলেন, অনেকদিন পর ওদের সঙ্গে দেখা হলো। খুবই ভালো লাগছে। আমি প্রাইমারি স্কুলে থাকাকালীন সময়ে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্টে জাতীয় পর্যায়ে রানারআপ দলে এ পাঁচজন ছিল। সেই থেকে তাদের পথচলা। আমি আজ তাদের জন্য গর্বিত।

পার্বত্য জেলার পাঁচ ফুটবলারের মধ্যে রূপনা ও ঋতুপর্ণার বাড়ি রাঙামাটিতে আর মনিকা, আনাই ও আনুচিংয়ের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়। তারা সবাই রাঙামাটির ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

Exit mobile version