parbattanews

রাঙামাটিতে সিএইচটি কমিশনের গাড়ী বহরে হামলা ভাংচুর,কমিশন সদস্যসহ আহত-১০(ভিডিওসহ)

Rangamati pic-05-07-14-1

স্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি: 

রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আর্ন্তজাতিক কমিশন (সিএইচটি কমিশন) গাড়ী বহরে হামলা ও ভাংচুর করেছে, রাঙামাটির ৬টি বাঙ্গালী সংগঠনের বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা। শনিবার দুপুরে শহরের পর্যটন এলকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এসময় কমিশনের সদস্যসহ ১০জন আহত হয়। গুরুত্বর আহতরা হলেন- সিএইচটি কমিশনের সদস্য ইফতেখারুজ্জামান, কলামিস্ট ইলোরা দেওয়ান, রাঙামাটি কতোয়ালী ওসি মনু ইমতেয়াজ সোহেল ও কমিশনের গাড়ী চালক জুয়েল। বাকি আহতদের নাম জানা যায়নি।

জানা গেছে, পার্বত্যাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশন (সিএইচটি কমিশন) এর ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জুতাবৃষ্টির মুখে খাগড়াছড়ি সফর শেষ করে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাঙমাটি আসে । রাঙামাটি জেলার চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়ে বিয়ে অনুষ্ঠানের যোগদানের গোপনে রাঙামাটি পর্যটন মোটেলে রাত যাপন করে।

শনিবার সকালে সিএইচটি কমিশনের সদস্যরা গোপনে বৈঠক করার কথাটি জানাজানি হয়ে গেলে আঞ্চলিক বাঙ্গালী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে। শহরের ফিসারী ঘাট এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ পর্যটন এলাকা। রাঙামাটি পর্যটন মোটলে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে দুপুর আড়াইটার দিকে কড়া পুলিশ পাহাড়ায় প্রহরায় একটি মাইক্রোবাস যোগে বেরিয়ে আসে কমিশনের সদস্যরা।

গাড়ি বহরটি শহরের ওমদামিয়া হিল এলাকায় পৌছলে বিক্ষুদ্ধ জনতা তুপের মুখে পরে। বিক্ষোভকারীরা কমিশনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাঠকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এসময় গাড়ীতে অবস্থানরত সিএইচটি কমিশনের সদস্য ইলোরা দেওয়ান ও গাড়ী চালক জুয়েল আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হয় রাঙামাটি কতোয়ালী থানার কর্মকর্দা (ওসি) মো. মনু ইমতেয়াজ সোহেল। এসময় গাড়ীর বহরে ছিলেন, সিএইচটি কমিশনের সমন্বয়কারী খানা শামস আহমেদ, এডভোকেট সুলতানা কামাল, ব্যারিষ্টার সারা হোসেন, ড.ইফতেখারুজ্জামান ও কলামিষ্ট ইলোরা দেওয়ান।

পুলিশ বিক্ষুদ্ধ জনতাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও দুই রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কতোয়ালী থানায় নিয়ে আসা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল ও পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ থানায় ছুটে যান। পরে চিকিৎসার জন্য সিএইচটি কশিনের সদস্যদের রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের দুইটি গাড়ী করে উন্নত চিকিৎসা জন্য রাঙামাটি সম্মেলিত সাময়িক হাসপাতালে (সিএমএস) নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সেনা ও পুলিশ পাহারায় ডিসির দেয়া অন্য একটি গাড়ীতে বিকল্প পথে রাঙামাটি ছেড়েছে কমিশন সদস্যরা বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল জানান, সিএইচটি কমিশন রাঙামাটি সফরের বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়নি। জানা গেছে, কমিশনের সদস্যরা একটি বিয়ের দাওয়াতে এসে রাঙামাটি পর্যটন মোটেলে অবস্থান নেন। তারা রাঙামাটি ত্যাগ না করে কর্মসুচী অব্যাহত রাখার চেস্টা করলে বাঙ্গালী সংগঠনগুলো তাৎক্ষনিক বিক্ষুদ্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে এবং বাঙ্গালী নেতারা পর্যটন মোটেলের গিয়ে সকাল থেকে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে কমিশনের সদস্যদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে মোটেল থেকে বের করে আনেন। কড়া পুলিশ প্রহরায় রাঙামাটি শহর ছেড়ে যাওয়ার সময় ওমদামিয়া হিল এলাকায় তারা হামলার শিকার হন।

 

Exit mobile version