parbattanews

রাঙামাটিতে হরতালে গাড়ি না চালানোর অপরাধে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে এক সিএনজি চালক ও তার ভাইকে

hortal

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
হরতালের সময় সিএনজি অটোরিক্সা রাস্তায় না নামানোর অপরাধে রাঙামাটির কাউখালীতে এক সিএনজি চালক ও তার আপন ছোট ভাইকে বেদম প্রহার করেছে সরকারদলীয় অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। গুরুত্বর আহত ভাইদ্বয় হলো আহাদ (২৫) ও তার ছোট ভাই বেলাল (১৮)। আহতদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।

আহতদের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘন্টার হরতালের কারনে ভাংচুরের ভয়ে নিজের মালিকানাধীন সিএনজি অটোরিক্সাটি রাস্তায় বের করেননি ড্রাইভার আহাদ। আর এই কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে সিএনজি চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু’র নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে বেদম মারধর করতে থাকে সিএনজি চালক আহাদকে। এসময় তাকে বাচাঁতে তার ভাই বেলাল এগিয়ে আসলে তাকেও বেদম মারধর করে সরকার সমর্থক হরতাল বিরোধীরা। এই সময় চালক সমিতির নেতা মারধরের পাশাপাশি বলতে থাকে, লীগ কেন করিস না, হরতালে গাড়ি রাস্তায় বের করলি না কেন।

লোহার রড ও কাঠের লাটির আঘাতে আহাদ-বেলাল দুই ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ ১৫ হাজার টাকাসহ একটি মোবাইল সেট নিয়ে গেছে বলেও দাবি করেছে আহতদ্বয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের অবস্থার অবনতি হলে দুইভাইকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে কাউখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন খোকন দাবি করেন, আজকের হরতালে সারাদেশের ন্যায় কাউখালীর সাধারণ মানুষও সমর্থন দিয়ে ১৮ দলীয় জোটের আন্দোলনকে শক্তিশালী করছে। এই কারনে সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষের উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে গুরুত্বর আহত করছে। রোববারের ঘটনায় কাউখালী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল কান্তি বড়ুয়া সরকার সমর্থক সিএনজি চালক সমিতির নেতাদের হাতে হরতাল সমর্থক চালকের মার খাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, আমি ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। এই ঘটনায় কেউ মামলা নিয়ে আসলে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version