রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য সংরক্ষণে হ্যাচারি নির্মাণ

Rangamati fish pic1 copy

স্টাফ রিপোর্টার:

বিলুপ্ত হয়ে গেছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলধারা ও বাংলাদেশের প্রধান মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্র কাপ্তাই হ্রদের প্রায় ৭৬ প্রজাতির মাছ। কার্প মাছের তালিকাভ’ক্ত রুই, কাতলা, মৃগেল মাছের আহরণের পরিমাণও আশংকাজনক হারে কমে এসেছে। তাপরও গত এক বছরে কাপ্তাই হ্রদের মাছের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ছিল ৯ হাজার ৫শ ৮৯ মেট্রিকটন। পুকুর, ক্রীক ও প্লাবন ভূমি থেকে মাছের উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ১শ ৭৯ মেট্রিকটন।

তাছাড়া রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু ও প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি এবং উৎপাদন বাড়াতে মৎস্য সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় একটি হ্যাচারি ও ২৫ একর নার্সারি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিঘ্রই এসব নাসারি ও হ্যাচারিতে মাছের পোনা উৎপাদন করা হবে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা ।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা মৎস্য বিভাগ, বিএফডিসি ও জেলা মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম মৎস্য চাষ উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের উপ-পরিচালক আব্দুর রহমান, বিএফডিসির কর্মকর্তা মো. মাসুদুল আলম, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ও জেলা মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের উধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এম এ বাশার প্রমূখ।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার জানান, বর্তমানে মাত্র ৩২ প্রজাতির মাছ হ্রদ থেকে বাণিজ্যেক হারে আহরণ হয়। হ্রদ এলাকায় অবাধে মা মাছ নিধনের কারণে ২০ থেকে ২৫ বছর আগেই মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন ব্যাহত হয়ে পড়ে। হ্রদে মাছের উৎপাদন বাড়াতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সাম্প্রতিক বছরের প্রায় ১৯ হাজার ২৭৮ কেজি শুধুমাত্র কার্প জাতীয় পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে হ্রদে দেশীয় যেসব প্রজাতির মাছ রয়েছে সেগুলো সংরক্ষণ ও সম্প্রসারনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি হ্রদে মাছের সুষ্ঠু ও প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি এবং উৎপাদন বাড়াতে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরণের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। একই সঙ্গে হ্রদে অবমুক্ত করা হয় কার্প ও সিলভার কার্প জাতীয় মাছের পোনা। এছাড়া মাছের উৎপাদন বাড়াতে বছরের সব ঋতু ও মৌসুমে ৯ ইঞ্চি সাইজের পর্যন্ত পোনামাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন