রাঙামাটির পর এবার আরেক পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি করোনা রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা ও রাঙামাটি জেলাকে করোনা সংক্রমণে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঢাকা ও রাঙ্গামাটির পর এবার আরও ১০ জেলাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোন বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে লাল তালিকাভুক্ত নতুন জেলাগুলো হলো, গাজীপুর, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, লালমনরিহাট, খাগড়াছড়ি ও পঞ্চগড়।
এছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে ৩২ জেলা। গ্রিন বা সবুজ জোনে রয়েছে ১৬ জেলা।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের তথ্যে দেখা যায়, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ১১ শতাংশ। রাঙ্গামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।
করোনা সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে লাল তালিকাভুক্ত ১০ জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার অন্তত ১০ শতাংশ।
গাজীপুর করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৪৯, রাজশাহী ১৪.৭৪ শতাংশ, যশোর ১১ দশমিক ২১ শতাংশ, কুষ্টিয়া ১১.৩৮ শতাংশ, বগুড়া ১১.৮৪ শতাংশ, দিনাজপুর ১১.২৬ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৮ দশমিক ৪৮, লালমনরিহাটে ১০ দশমিক ৭১, খাগড়াছড়ি ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ ও পঞ্চগড় ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে থাকা ৩২ জেলার শনাক্তের হার অন্তত ৫ শতাংশ। জেলাগুলো হলো—সিলেট, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, নওগাঁ, ঝিনাইদহ, নাটোর, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, মাগুরা, নড়াইল, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, শেরপুর, ঝালকাঠি ও ঠাকুরগাঁও।
এছাড়া এখনও করোনা থেকে ঝুঁকিমুক্ত আছে ১৬ জেলা। এই জেলাগুলোতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে।
ঝুঁকিমুক্ত জেলাগুলো হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, ভোলা, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী ও মেহেরপুর।
