parbattanews

রাঙামাটির লংগদুতে পুনর্বাসন কর্মসূচির দশ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আটক

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলা সদরে ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থী ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা জনসংহতি সমিতির সদস্যদের পুনর্বাসন, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পসহ বিভিন্ন ত্রাণ কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দকৃত দশ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার কালোবাজরে বিক্রির সময় উপজেলার মাইনীমুখ লঞ্চঘাট থেকে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সদস্যরা এসব খাদ্যশস্য আটক করেন। তবে ঘটনার মূল হোতা লংগদুর খাদ্যগুডামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সুইস বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি ।বর্তমানে খাদ্যশষ্য গুলি লংগদু থানার জিম্মায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

গত বছরও কাপ্তাই বড়ইছড়ি খাদ্যশষ্য এসব খাদ্যশষ্য কালোবাজারে বিক্রি করার সময়ে ধরা পড়ে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। অভিযোগ উঠেছে দেবাশীষ চৌধুরী আগষ্ট ২০১২ লংগদুর খাদ্যগুডামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করার পর পরিবহন ঠিকাদারের সাথে যোগসাজসে চট্রগ্রাম পাহাড়তলীতে গম ও আতপ চাউলের ডিও বিক্রয় করে কম দামের সিদ্ধ চাউল নিয়ে আসে। গম ও আতপ চাউল প্রতিটনে ৮/১০ হাজার টাকার ব্যবধানে পাহাড়তলী বাবুল হক এবং সাহাবউদ্দীন সওদাগরের কাছে বিক্রি করার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়াগেছে।

দেবাশীষ চৌধুরী যোগদান করার পর লংগদুর খাদ্যগুডামের প্রায় এক হাজার মেট্রিক টন গমের ডিও বিক্রি করেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যবসায়ী জানান। দেবাশীষ বিভিন্ন আত্বীয় স্বজন ও শাশুড় এর নামে তবলছড়ি বাজারে তিনটি প্লট এবং তার ভাইদের নামে ২টি নোহা গাড়ী ক্রয় করেছে। এসব অবৈধ আয়ের অর্থ লেন দেন করে অন্য একাউন্ডে যার হিসাব নং এফ আই সি ব্যাংক ২২০৪৪৭৫৫১৯০৩৫।

Exit mobile version