parbattanews

রাঙামাটির সাজেকে গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা

bght

সাজেক প্রতিনিধি:

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাংলার দার্জিলিং খ্যাত আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে সকল প্রকার গাড়ী চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা, গাড়ীতে হামলা ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। খাগড়াছড়ি জিপ মালিক সমিতির লাইন কন্ট্রোলার উজ্জলকে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় ০১৮৩২৫৪৩৭৮৭ নাম্বার থেকে ফোন করে এই হুমকি দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে লাইন কন্ট্রোলার উজ্জল এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাকে গত ১৭তারিখ সন্ধ্যা ৭টায় আমার মোবাইলে একটি কল আসে আমি কল রিসিভ করার পর অজ্ঞাত কণ্ঠ থেকে আমাকে বলে আগামী রবিবার সকাল থেকে যেন সাজেকে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল না করে এবং পর্যটকদের কোন গাড়ী ভাড়া যাতে না দেয়া হয়। আর যদি চলাচল করে গাড়ীতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে। এসময় কলদাতার পরিচয় জানতে চাওয়া হলে সে বলে, আমি সাজেকে মাইক্রোবাস পুড়িয়ে দেওয়া গ্রুপের লোক।


আরো দেখুন:
আবারও বাঘাইছড়িতে মালভর্তি ট্রাকে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের আগুন
রাঙামাটির সাজেকে মালভর্তি ট্রাকে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের আগুন
সাজেকে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা
পণ্যবোঝাই ট্রাকে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের আগুন দেয়ার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

এই হুমকি পাওয়ার পর তারা যানবাহন চলাচল অব্যাহত রাখবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিরাপত্তা বাহিনীকে এবং বাঘাইহাট জোন কমান্ডারকেও জানিয়েছি, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা গাড়ী চলাচল বন্ধ রাখব।

খাগড়াছড়ি জীপ মালিক সমিতির সভাপতি হাসেম পার্বত্যনিউজকে হুমকির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রশাসন যদি নিরাপত্তা দেয় আমরা গাড়ি চলাচল অব্যাহত রাখতে চাই।

এই বিষয়ে বাঘাইহাট জোন অধিনায়ক লে. ক. আলী হায়দার সিদ্দিকী জানান, আমাকে খাগড়াছড়ি জীপ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে হুমকির বিষয়টি আজকে জানানো হয়েছে, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং কারা এই হুমকি দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাইদ তারিকুল হাসানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি প্রতিবেদকের নিকট থেকেই কথাটি প্রথম শুনলেন। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

উল্লেখ্য, চাঁদা না দেয়ায় উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা প্রায়শ: গাড়িতে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এরপর সাজেক পর্যটন কেন্দ্র চালু হলে সন্তু লারমা ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন কেন্দ্র অচল কর দেয়ার ঘোষণা দেয়। তার অংশ হিসাবে গত কয়েকমাসে সাজেকগামী কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পর্যটকদের মারধোর করে। এরপর থেকে বাঘাইহাট জোন থেকে সাজেক পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারায় পর্যটক যাতায়াতের ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

 

Exit mobile version