রাঙামাটির কোতয়ালী থানায় মুলতবি থাকা ৬টি সিআর মামলার বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পরোয়ানাভুক্ত এবং ৩টি সিআর মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ইয়াকুব হোসাইন মাসুদ(৩৮)কে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ইমিগ্রেশন) থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ জুন) আসামি ইয়াকুব হোসাইন মাসুদ সপরিবারে দুবাই পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।
আসামি ইয়াকুব হোসাইন মাসুদ(৩৮), পিং- আবু ইউসুফ, মাতা- মঞ্জুয়ারা বেগম, সাং- ভেদভেদী মুসলিম পাড়া, থানা- রাঙামাটি সদর, জেলা- রাঙামাটিকে
জানা যায়, আসামি ইয়াকুব হোসেন মাসুদ ঢাকায় একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে কয়েক লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। যার প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন আদালতে চেক জালিয়াতির একাধিক মামলা হয় এবং বিচার শেষে বিজ্ঞ আদালত ৬টি সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি এবং জেলা সাইবার ইউনিটের সহায়তায় জানা যায়, ধূর্ত আসামি পরোয়ানা জারির পর আত্মগোপনে থেকে কৌশলে প্রায় ১০ বৎসর পূর্বে বিদেশে (দুবাই) পালিয়ে যায়। মাঝে মধ্যে বিদেশ থেকে দেশে আসা-যাওয়া করে এবং বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করে একাধিক বার পাসপোর্ট গ্রহণ করে। অনুসন্ধানে উপরোক্ত বিষয় জানার পর টিম কোতোয়ালি আসামির তিনটি পাসপোর্ট নাম্বার, জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্মনিবন্ধন কপি সংগ্রহ করে আসামিকে গ্রেফতার করার লক্ষ্যে রাঙামাটি পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করে। তারপর পুলিশ সুপার আসামির বিদেশ গমনাগমনরোধসহ আটক এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন), ঢাকা বরাবরে অনুরোধ করেন। সে অনুরোধের প্রেক্ষিতে শুক্রবার (২৩ জুন) আসামি ইয়াকুব হোসাইন মাসুদ সপরিবারে দুবাই পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ আসামির বিদেশ গমনরোধ করে আটকপূর্বক টিম কোতোয়ালিকে অবহিত করেন। টিম কোতোয়ালি ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন থেকে আসামিকে উল্লেখিত পরোয়ানামূলে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসে। আসামিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞ আদালতে পাঠাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
