parbattanews

রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ ৪টি রুটে পরিবহন ধর্মঘট ৮ঘন্টা পর প্রত্যাহার

paribahen

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলা অনির্দিষ্টকালের স্থানীয় যাত্রীবাহি পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে অত্রাঞ্চলের মোটর মালিক সমিতি। সংগঠনটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ছাবের আহাম্মদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের সাথে বৈঠকে আমাদের মালিক সমিতির ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি।

উল্লেখ্য, প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম রেজিষ্টেশনকৃত সিএনজি অটোরিক্সাগুলো মেট্রো এলাকায় ঢুকতে পারেনা, আর সিএনজি অটোরিক্সাগুলো থাকার কথা বিআরটিসি ডিপুর কাছাকাছি স্থানে। কিন্তু তারা তা নাকরে অক্সিজেনে এসে বাস ষ্টেশনে এসে যত্রতত্র পার্কিং করে যারফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর এতে শুক্রবার তাদেরকে বাধাঁ দিতে গেলে বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের উপরও হামলা চালায় সিএনজি চালকরা, এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জনের মতো আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সিএনজি চালকদের এহেন কর্মকান্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহি পাহাড়িকা ও বিরতীহীন বাস সার্ভিস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান ছাবের আহাম্মদ।

এদিকে আট ঘন্টা বন্ধ থাকার পর রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ ৪টি রুটে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে চট্টগ্রামের প্রশাসনের আলোচনার প্রেক্ষিতে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদুল আলম। অন্যদিকে রাত থেকে আকষ্মিক বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা পড়ে ছিলো দূর্ভোগে। তারা সকালে যার যার গন্তব্যে স্থানে যাওয়ার জন্য আসলেও আকষ্মিক বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আবার ফিরে যেতে হয় তাদের।

Exit mobile version