parbattanews

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হবে: নিখিল কুমার চাকমা

নিখিল কুমারস্টাফ রিপোর্টার:

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল ১০০ শয্যা থেকে ২৫০শয্যায় উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।তিনি বলেছেন, জেলার দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করতে জেলা পরিষদ হতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।বর্তমানে জেলার একমাত্র ১০০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালটিকে ২৫০শয্যায় উন্নীত ও কেবিন বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।

বুধবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পরিষদের মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, জেলার বসবাসরত জনগণের স্বাস্থ্যসেবার জন্য হাসপাতালের অবকাঠামো উন্নয়ন ও জনবল বাড়ানো হলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার শতভাগ সুফল জনগণ ভোগ করতে পারবে। এসময় স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে যা যা করা প্রয়োজন তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে আবেদন করবেন বলেও জানান।

সভায় পরিষদের হস্তান্তরিত বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ স্ব স্ব বিভাগের কার্যক্রম, সমস্যা ও মতামত উপস্থাপন করেন এবং চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ উপস্থাপিত সমস্যা ও মতামতগুলো গুরুত্বের সাথে আলোচনা করে সমাধানের পরামর্শ এবং পরিষদ হতে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের সীমানায় অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর সমন্বয়ে একটি তালিকা করা হয়েছে। পরবর্তীতে এসকল অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিনিধি জানান, গত ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি শনিবার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে রাঙামাটি চিংহ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ে আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০১৫ উদ্বোধন করা হয়েছে।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট এর পরিচালক জানান, এ বছরের এপ্রিল মাসের ২ থেকে ৪ তারিখ পাহাড়িদের প্রধান বিজু উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট মেলার আয়োজন করা হবে। মেলায় সংস্কৃতি মন্ত্রী মহোদয়কে অতিথি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ঢাকার একুশে বই মেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট এর পক্ষ থেকে একটি বইয়ের স্টল দেওয়া হয়েছে।

জেলা সমবায় কর্মকর্তা জানান, জেলার ১৬টি সমবায় সমিতির অডিট সম্পন্ন হয়েছে এবং শতভাগ ঋণ আদায় সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ১২০জন সদস্যকে ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

ক্রীড়া বিভাগের ক্রীড়া কর্মকর্তা জানান, বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, ১লা জানুয়ারি থেকে যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কম্পিউটার বিষয়ে ৪১জন এবং পোশাক সেলাই বিষয়ে ৪০জন প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম চলছে।

বালুখালী, কাপ্তাই, লংগদু, বনরূপা, চেঙ্গী এবং আসামবস্তী হর্টিকালচারের উদ্যান তত্ত্ববিদগণ জানান, হর্টিকালচারে প্রচুর পরিমাণে চারা কলাম মজুদ রয়েছে এবং চাষীরা বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে চারা কলাম স্বল্প মূল্যে ক্রয় করতে পারে।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরার পরিচালনায় সভায় পরিষদের সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরী, বৃষকেতু চাকমা, অভিলাষ তংচঙ্গ্যা, শামীম রশিদ, সহকারী প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমাসহ হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version