রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী
রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে রাঙামাটি আমলী আদালত। আগামী ২নভেম্বর এর মধ্যে আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মো. নাছিরকে গত ২০২০ সালের ৩০জানুয়ারি হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে একইদিনে রাতে তার স্ত্রী মোছা: সালেহা আক্তার বাদী হয়ে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় ১৯৬০সালের পেনাল কোড আইন ১৪৩/৩০৭/৩২/৫০৬ ধারায় ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। মামলায় ২নং আসামি করা হয়েছে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজনকে।
সূত্রটি থেকে আরও জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার ২নং আসামি আব্দুল জব্বার সুজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে গত ২০ অক্টোবর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদন জমা দিলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত দাবি বাতিল করে নাছির হত্যাকাণ্ডের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণের মাধ্যমে আগামী ২নভেম্বর এর মধ্যে আব্দুল জব্বার সুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করতে পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেছে। গত ২০অক্টোবর মামলাটির রায় প্রদান করেন, রাঙামাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো. আসিফ।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিজ্ঞ আদালতের ওয়ারেন্ট পেপারটি আমাদের হাতে এসেছে। আমরা এখন আসামীকে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করবো।
প্রসঙ্গত: রাঙামাটি পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মো. নাছিরের উপর গত ২০২০ সালের ৩০জানুয়ারি দিনগত রাতে রাঙামাটি শহরের হ্যাপির মোড় প্রত্যাশা ক্লাবের সামনে হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্যে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন, জেলা যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন চৌধুরী, মিজান, আব্দুল ওয়াহাব, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. আরিফ, ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর দে, মো. শাকিল এবং আজমির মিলে হামলা চালায়। একইদিনে রাতে তার স্ত্রী মোছা: সালেহা আক্তার বাদী হয়ে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় ১৯৬০সালের পেনাল কোড আইন ১৪৩/৩০৭/৩২/৫০৬ ধারায় ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করে।