রাঙামাটি পুলিশ কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদক ধ্বংস

01

আলমগীর মানিক,রাঙামাটি:
মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আর্ন্তজাতিক দিবস উপলক্ষে মাদক ধ্বংসকরণ কর্মসূচি পালন করেছে জেলা পুলিশ বিভাগ। আজ রাঙামাটি কোতয়ালী থানা মাঠে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল।

জেলা পুলিশ সুপার আমেনা বেগমের সভাপতিত্বে ধ্বংস করণ কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আলী হায়দার রাসেল, নবনিযুক্ত জেলা আনসার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার এবং সদর উপজেলা ইউএনও রেহানা আক্তার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশের এএসপি আশরাফুজ্জামান, এএসপি সার্কেল মনিরুজ্জামান, কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম চৌধূরীসহ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগের অফিসারগণ।

এসময় গত ছয়মাসে রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেন অতিথিবৃন্দ। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে “নেশা নয়, স্বাস্থ্যই হোক জীবনের নতুন প্রত্যাশা” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জেলা শহরে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ। পরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  মোঃ সাইফ উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে মাদক বিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের দেশের অধিকাংশ পরিবারেই একজন অথবা তারও অধিকজন মাদকাসক্ত রয়েছে। পরিবার তথা সমাজ ও আমাদের অর্থনীতিকে ধীরে ধীরে যে ধ্বংস করে তাহলো মাদকের পরোক্ষ প্রতিক্রিয়া। আমাদের দেশের মোট সম্পদের বিরাট একটি অংশ পাচার হয়ে যায় সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মাদকের পেছনে ব্যয় করতে গিয়ে। আগে সামাজিক প্রথা হিসেবে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর প্রায় নব্বই শতাংশ লোকই মাদক গ্রহণ করতো সচেতনতার ফলে বর্তমানে এটা নেমে এসেছে মাত্র দশ শতাংশে। আর তখন কিন্তু এটা মাদক হিসেবে গ্রহণ করা হতো না, এটা সামাজিক প্রথা হিসেবেই গ্রহণ করা হতো।

বর্তমানে আমরা নিজেদের সামাজিক প্রথাকে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলার জন্যেই আমাদের এলাকার অধিকাংশ লোকই মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত হচ্ছে। আর এ থেকে পরিত্রাণ পেতে দরকার আমাদের সকলের সচেতনতা ও দায়বদ্ধতা। আমাদের নিজেদের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা চিন্তা করে আমরা সবাই যদি নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করে যাই তাহলেই সম্ভব মাদকমুক্ত একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন