রাঙামাটি বিএফডিসি কর্তৃক ৪শ কেজি মাছ জব্দ

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
দক্ষিন এশিয়ার বৃহত্তম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি, মজুদ ভারসাম্য রক্ষা ও অবমুক্ত পোনার যথাযথ সংরক্ষন নিশ্চিতকরনের লক্ষ্যে গত ৮মে মধ্যরাত থেকে  কাপ্তাই হ্রদের ৭শ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে মাছ ধরা সম্পুর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অভয়াশ্রম ঘোষনা, প্রাকৃতিক প্রজননের পাশাপাশি মৎস্যপোণা অবমুক্তকরণ করা এবং কচুরীপানা দিয়ে মাছের ঝাক দেয়া নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি হ্রদের উপর নির্ভরশীল প্রায় সকল জ্বেলে পরিবারের জন্য ভিজিএফের ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে বিনামূল্যে যাতে করে কোনো জ্বেলে চুরি করে মাছ না ধরে এবং পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন না কাটায়, সরকারের এতসব কর্মকান্ড সত্তেও থেমে নেই কাপ্তাই লেকে অবৈধ পন্থায় মাছ ধরা। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া গোপন তথ্যের মাধ্যমে শত শত কেজি মাছ জব্দ করছে রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শহর সংলগ্ন কেল্লা মূড়াস্থ আধা পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪শ কেজি মাছ আটক করেছে বিএফডিসি কতৃপক্ষ। আটক করা মাছের মধ্যে প্রায় সবগুলো মাছই কাপ্তাই লেকের কেচকি মাছ এবং এর বাজার মূল্য প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা বলে জানিয়েছে বিএফডিসি কতৃপক্ষ।

এর মাত্র দুইদিন আগে শহরের এসপি অফিস সংলগ্ন স্থানীয় বাবুল সওদাগরের বাসায় একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১১টি ড্রাম ভর্তি সাড়ে চার’শ কেজি মাছ জব্দ করে বিএফডিসি কতৃপক্ষ।

কিন্তু প্রতিটি অভিযানে মাছ আটক করতে বিএফডিসি কতৃপক্ষ কার্যকর ভূমিকা রাখলেও এই প্রক্রিয়ার সাথে যারা জড়িত তাদের একজন কেউ আটক করতে পারেনি বিএফডিসি কতৃপক্ষ। এর জবাবে বিএফডিসি কতৃপক্ষ জানায়, আমাদের অভিযানে সময় অবৈধ মৎস্য ব্যবসায়িরা পালিয়ে যাওয়ার কারনে তাদের আটক করা সম্ভব হয়না।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন