parbattanews

রাঙ্গামাটিতে জনসংহতি সমিতির বিক্ষোভ

01

আলমগীর মানিক,রাঙ্গামাটি

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে পাশ কাটিয়ে ও পার্বত্য চুক্তি লংঘন করে একতরফা ও বিতর্কিত ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনী সংসদে পাস করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তির দাবানল ছড়িয়ে পড়বে বলে হুশিয়ারী দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি।

আজ সোমবার রাঙ্গামাটিতে এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে জনসংহতি সমিতির নেতারা এ হুশিয়ারী দেন। সমাবেশে জনসংহতি সমিতির শীর্ষ নেতা উষাতন তালুকদার, নীলোৎপল খীসা, সজীব চাকমা, উদয়ন ত্রিপুরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির মতামত ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৩ দফা সংশোধনী প্রস্তাব অনুসরণ করে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনের দাবী জানান।

এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল জনসংহতি সমিতির কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে রাঙ্গামাটির প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে করে।

এদিকে সংবিধান বর্হিভূত পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের ষড়যন্ত্র শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও প্রতিহত করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ। সোমবার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় তারা এই তথ্য জানায়।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও রাঙামাটি জেলা সভাপতি উজ্জল পাল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের একদশমাংশ এলাকা পার্বত্যাঞ্চলকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী আন্তর্জাতিক মহলের মদদ পুষ্ট উপজাতীয় নেতারা তাদের “কল্পিত জুমল্যান্ড” বানানোর নীলনক্সা অনুযায়ী পার্বত্য ভূমি দখল ও পার্বত্যাঞ্চল থেকে বাঙ্গালী শূন্য করার লক্ষ্যে পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধনের দাবী করে যাচ্ছে। ৩০ জুলাই আন্তমন্ত্রণালয় কর্তৃক পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের উপজাতীয় নেতা কর্তৃক দাবীকৃত ১৩টি ধারা সংশোধনের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের জন্য আত্মঘাতি সিদ্ধান্তের সামিল। যা স্বাধীনতাকামী বীর বাঙ্গালীসমাজ কখনো বাস্তবায়ন হতে দেবেনা। ফলে পার্বত্যাঞ্চলের অসম্প্রদায়িক মনোভাব, শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারে। রাষ্ট্রের অখন্ডতা রক্ষার্থে বাংলাদেশ সংবিধানের প্রচলিত আইনে পার্বত্য ভূমি সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় কার্য্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সরকারকে দায় দায়িত্ব বহন করতে হবে বলেও জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

 

Exit mobile version