parbattanews

রাঙ্গামাটিতে বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রির ধুম

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটি শহরে বাপ-ছেলের পতাকা বিক্রি

বাঙালির জীবনে স্মৃতিগাঁথা মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে শহর থেকে গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত সরকারি, আধা সরকারি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এই মাসে লাল সবুজের জাতীয় পতাকার চাহিদাও যেন বেড়েই চলেছে। ফলে জাতীয় পতাকা হাতে মৌসুমি পতাকা বিক্রেতারা ছুটছে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তরে। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারেও পতাকা বিক্রির ধুম পড়েছে।

রাাঙ্গামাটি শহরে বনরূপা সানমুন টেইলার্সের দর্জি তুষার পাল জানান, তিনি প্রায় ২৩ বছর ধরে জাতীয় পতাকা তৈরি করেন। তাকে জেলা প্রশাসন থেকে জাতীয় পতাকার পরিমাপ দেওয়া হয়েছে সে পরিমাপের পতাকা তৈরি করেন। তার কাছে রাঙ্গামাটি জেলা-উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠান পতাকা বানিয়ে নেন। তিনি আরও জানান, ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ এবং ১৬ ই ডিসেম্বর এলে ১৫ দিন আগে থেকে জাতীয় পতাকা বানানোর জন্য ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু এবার রাঙ্গামাটি শহরের কয়েকজন মৌসুমি বিক্রেতা পতাকা বিক্রয় করার কারণে এবার তেমন কোন কাজ পাননি তিনি।

এদিকে রাঙ্গামাটি শহরের পতাকা বিক্রি করছেন ঢাকা থেকে আসা মৌসুমি বিক্রেতা মোঃ কবির। তিনি জানান, আগে ঢাকায় কাপড় বিক্রি করতেন। তবে দুই-এক বছর ধরে তিনি রাঙ্গামাটিতে ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ এবং ১৬ ডিসেম্বর এলেই জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে আসেন। তিনি আরও জানান, এবার তার ১৩ বছর বয়সের ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলামকে নিয়ে রাঙ্গামাটি শহরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন। তার কাছে সর্বনিম্ন  ২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মূল্যের পর্যন্ত পতাকা রয়েছে। তার দৈনিক আয় ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত বেচা-কেনা হয় বলে তিনি জানান।

চট্টগ্রাম থেকে আসা আরেক মৌসুমি বিক্রেতা মোঃ আলমগীর জানান, পতাকা বিক্রি করে তিনি গর্বিত। তিনি মনে করেন, পতাকার মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে শহীদদের সন্তানকে তুলে দিচ্ছেন। তারা সেটিকে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে লালন করছেন। এ পতাকার জন্য বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন। আর কোনো জাতীয় দিবস এলেই এ পতাকার কদর অনেক বেড়ে যায়। এ এক মাস পতাকা বিক্রি করে অনেক লাভ হয়। তাই বিজয়ের মাস এলেই পতাকা বিক্রি করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে ছোট-বড়, মাঝারি জাতীয় পতাকাসহ পতাকার মাথার এবং হাতের ব্যাণ্ড, পতাকা ব্যাজ এবং স্টিকারসহ বিক্রি করেন। তার কাছে সর্বনিম্ন ২০ টাকার পতাকা থেকে ২৮০ টাকা দামের পতাকা রয়েছে।

Exit mobile version