parbattanews

রাঙ্গামাটির আসামবস্তিতে সন্ধ্যা নামলেই মাদক বেচাকেনা: পুলিশ ফাঁড়ি বসানোর দাবি

রাঙ্গামাটি শহরের আসামবস্তি এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি বসানোর দাবি জানিয়েছেন সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দারা। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যা নামলেই আসামবস্তি এলাকার নারিকেল বাগান, আসামবস্তির দুইটি ব্রীজসহ বিভিন্ন নির্জন জায়গায় চলে মাদক সেবন, মাদক বেচাকেনা, ইভটিজিংসহ অসামাজিক কার্যকলাপ। যার ফলে এলাকার পরিবেশ, আইন শৃঙ্খলাসহ কোমলমতি স্কুলপড়ুয়া শিশুদের ক্ষতি হচ্ছে। নানা অপকর্মের ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করে বলেন, রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানা শহরের তবলছড়ি বাজার এলাকায় হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ী, মাদক সেবনকারীরা আসামবস্তি এলাকার বিভিন্ন নির্জন জায়গায় অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। এমনকি সেখানে রাঙ্গামাটি পাবলিক কলেজ, সরকারি প্রতিষ্ঠান মাশরুম উৎপাদন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হর্টিকালচারে (নারিকেল বাগান) এলাকা নিরাপদ নয়। হর্টিকালচারে দারোয়ান থাকার সত্ত্বেও সেখানে সন্ধ্যা হলেই মাদকসেবী ক্রেতা-বিক্রেতাদের বাজারে পরিণত হয়। তাই আসামবস্তির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এলাকাবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে একটি পুলিশ ফাঁড়ি বসানোর প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তারা।

এদিকে সচেতন মহল বলছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকলেও রাঙ্গামাটিতে মাদকসেবী এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় ব্যবসা করে যাচ্ছে গডফাদাররা। পুলিশের কিছু সদস্যের যোগসাজশে মরণ নেশা ইয়াবা বেচাকেনা হচ্ছে বলে স্থানীয় অধিকাংশ মানুষ অভিযোগ করেছেন। তবে শহরের আসামবস্তি ছাড়াও কাঠালতলীস্থ শান্তিনগর, স্টেডিয়াম এলাকা গুলোতেও সন্ধ্যা নামলেই মাদক ব্যবসাসহ অসামাজিক কার্যকলাপ। যার ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উঠতি বয়সের যুবক-যুবতিরা। তাঁরা আরও বলেন, শুধু আসামবস্তি এলাকা নয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেখানে পুলিশ ফাঁড়ি নাই, সেখানেই পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা দরকার।

এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বলেছেন, পুলিশ ফাঁড়ি বসানো এটি সরকারি সিদ্ধান্ত। তবে ঐ এলাকায় পুলিশ অভিযান চালাবে এবং যারা অসামাজিক কার্যকলাপ সহ মাদক বেচাকেনা করছে তাদের আইনের আওয়তায় আনা হবে বলে তিনি জানান।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেছেন, এ ব্যাপারে পুলিশকে জানানো হবে।

Exit mobile version