রাঙ্গামাটির মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

Rangamati-Diginalai-Pic-001

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঘাইছড়ি থেকে ফিরেঃ

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির মারিশ্য- খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সড়ক সংস্কার কাজে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবছরই এই সড়কের সংস্কার করা হলেও কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও অসংখ্য খানা-খন্দে বেহাল দশা হওয়ার কারণে যানববাহন চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। সড়কটির দূরাবস্থা নিরসনে বাঘাইছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি, বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ ও খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির উদ্যোগে সড়কটি বার বার মেরামত করতে গিয়ে অনেক টাকা ব্যায় করে। তাছাড়া খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের আওতাধীন সড়কটি গতবছর ও তার আগের বছর সময়মত মেরামত না করায় যানবাহন চলাচল অতিরিক্ত
ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে পরপর ২ বার গাড়ী চলাচল বন্ধসহ মানববন্ধনের মত কর্মসূচী পর্যন্ত পালন করে বাঘাইছড়ি এলাকাবাসী।
জানা গেছে, সম্প্রতি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা সড়ক বিভাগ কতৃক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করে। নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করে এই সড়ক সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কটি সংস্কারের নামে যেসব মালামাল ব্যবহার করছে তা খুবই নিম্নমানের। তাছাড়া সড়কের খানা- খন্দগুলো ভরাট করতে যে সমস্ত উপকরণ দেওয়া হচ্ছে তা খুব বেশি হলে কয়েক মাস থাকবে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এসব নিম্নমানের মালামাল দিয়ে চলছে সড়ক সংস্কারের কাজ। এছাড়া সড়কটির জন্য প্রয়োজনীয় দুই পাশের নালা সংস্কার করা হচ্ছে না। সড়কটি নির্মানকাল হতে এখনো পর্যন্ত নালাগুলি সংস্কার করতে দেখা যায়নি। একারণে বর্ষা মৌসূমে
পাহাড়ের ঢাল থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিগুলো সড়কের উপর জমতে থাকে। যার কারণে সড়কের আস্তর উঠে গিয়ে বিভিন্ন খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়।

বাঘাইছড়ি-যেহেতু পাহাড়ী এলাকা তাই রাস্তার পাশে অবশ্যই নালার প্রয়োজন রয়েছে। তাই এই সড়কের পাশাপাশি নালাগুলি মেরামত করা হলে সড়কটির স্থায়ীত্ব বাড়বে বলে দাবী করেছে এলাকাবাসী।
এব্যাপারে খাগড়াছড়ি সড়কও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো্ ইসমাইল হোসেন জানায়, মারিশ্যা- দীঘিনালা ২০ কিঃ মিঃ সড়কের ভাল অংশ বাদে অবশিষ্ট অংশে ৪ গ্রুপে প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার কাজ চলছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। কাজের মান খারাপ করার সুযোগ নেই। তাই কাজের মানও ভাল হচ্ছে। প্রাক্কলিত ব্যয়ের সম্পূর্ণ বরাদ্দ এখনো পাওয়া যায়নি। সড়কের দুই পাশে অবস্থিত ড্রেনের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন