দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি নিলে জেল জরিমানাসহ অর্থদণ্ড দেয়া হবে

রাঙ্গামাটির সীমান্ত এলাকাগুলোতে বিজিবি কঠোর নজরদারি রেখেছে: জেলা প্রশাসক

fec-image

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য্য সহকারে মোকাবিলা করতে হবে। আতঙ্কিত হয়ে অপ্রয়োজনীয় বেশি জিনিসপত্র কেনাকাটা করারও প্রয়োজন নেই। এই পরিস্থিতিতে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

করোনা ভাইরাসকে ঘিরে ব্যবসায়ীরা যদি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি নেয়, তাহলে তাদের জেল জরিমানাসহ অর্থদণ্ড দেয়া হবে।

সোমবার (২৩ মার্চ) বিকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগনের সচেতনতা বিষয়ক জরুরী আলোচনা সভায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ এসব কথা বলেছেন।

 এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিল্পী রানী রায়, নেজারত ডেপুটি কালেষ্টর উত্তম কুমার দাশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইসলাম উদ্দিন।

এছাড়াও রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব এর সভাপতি শাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাবেক সভাপতি সুনীল কান্তি দে, দৈনিক রাঙ্গামাটি এর সম্পাদক আনোয়ার আল হক, দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পাদক ফজলে এলাহী, সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময় সম্পাদক ও প্রকাশক মিলটন বড়ুয়া, রিপোটার্স ইউনিটি’র সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মোঃ সোলায়মান, সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি নন্দন দেবনাথসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বর্তমানে ১০৫ জন বিদেশ ফেরত ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং যারা হোম কোয়ারেন্টাইন অমান্য করছেন তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অভিযান অব্যাহতও থাকবে।

তিনি বলেন, রাঙ্গামাটির সীমান্ত এলাকাগুলোতে বিজিবি’র সদস্যরা কঠোর নজরদারি রেখেছে। যাতে কোন মানুষ যাতায়াত করতে না পারে। বহিরাগত লোকজনের আশা-যাওয়া মোটামুটি বন্ধ করা হয়েছে।

ঢাকা, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলা থেকে আসা-যাওয়া না করার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। তাই যিনি বর্তমানে যেখানে যে অবস্থানে আছেন, সে স্থানে বসবাস করার জন্য অনুরোধ করেছেন। জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি বলেছেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে বিনা কারণে অযথা জড়ো না হয়ে অধিক সময়ই নিজ বাসাবাড়িতে থাকুন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে খুব শীঘ্রই সেনাবাহিনী মাঠে নামছেন বলেও উল্লেখ করেছেন।

স্থানীয় ও জাতীয় এনজিও গুলোর ঋণ আদায় বিষয়ে বলেছেন, এ বিপদে এনজিওদের সহনশীল থাকতেই হবে। যারা ঋণগ্রস্থ তাদের ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থা খুবই নাজুক। তাই গ্রাহকের ঋণের বিষয়টি সহনশীল ভাবে দেখতে এনজিওদের নিদের্শ দেয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের অবহিত করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস, রাঙামাটি, সংবাদ সম্মেলন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন