parbattanews

রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ ও ভর্তিতে বাঙালিদের জন্য কোটা চালুর দাবিতে স্মারক লিপি

news pic (1) copy

রাঙামাটি প্রতিনিধি:

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজে নিয়োগ ও ভর্তির ক্ষেত্রে বাঙালিদের জন্য কোটা চালুর করার দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান করেছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ।

সোমবার সকালে অতিরিক্ত (সার্বিক) জেলা প্রশাসক প্রকাশ কান্তির হাতে এ স্মারক লিপি দেওয়া  হয়।

এসময় পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান ,সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র বিরোধিতা আর স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে নানাভাবে বাধা দেয়ার ঘটনার পর ২০১৫ সালে শুরু হয় প্রথম ব্যাচের শ্রেণী কার্যক্রম। তাও বহু আন্দোলন, কাঠখড় পোড়ানোর পর প্রায় দুই বছরের সেশনজট মাথায় নিয়ে এবং একটি স্কুলের দুটি শ্রেণীকক্ষে শুরু হয় এর কার্যক্রম। অথচ কথা ছিলো শীঘ্রই নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

আরও উল্লেখ করা হয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ও ইউএনডিপির কনসালটেন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন উচ্চ বেতনে কাজ করা ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমাকে। কিন্তু নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগীয় প্রধান কিংবা ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালনের কোন অভিজ্ঞতা না থাকা এ শিক্ষক হঠাৎ একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পেয়ে কাজে গতি আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার অনভিজ্ঞতা ও উদাসীনতার কারণে এবং সারাক্ষণ একটি আঞ্চলিক দলের হুমকিতে ভীত থাকায় যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু করার যথার্থ উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তার কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে একটি বছর।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ শুরু হলে ভিসি তার আত্মীয় স্বজন এবং রাজনৈতিক তদবিরের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করায় শুরুতেই অযোগ্য লোকজন নিয়োগ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ঘিরে যে স্বপ্ন আর আকাঙ্খা ডানা মেলছিলো তার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম ‘রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ হলেও এ জেলা থেকে এখন অবধি একজনও কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়নি এবং মাত্র একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারি নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যা রাঙামাটিবাসীর সাথে প্রতারণার শামিল।

Exit mobile version