parbattanews

রাঙ্গুনিয়ায় ফলের বাজারের সিংহভাগ কাঁঠালের দখলে

jackfruitspctr2

আরিফুল হাসনাত, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ

স্বাদ, পুষ্টিগুন ও ফলনের বিচারে কাঁঠাল আমাদের জাতীয়  ফলের স্বীকৃতি পেয়েছে। মানব শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরনের উপযুক্ত ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, আয়রণ, শর্করা রয়েছে কাঁঠালে। তবে শুধু পুষ্টির চাহিদা মেঠাতেই নয়, এ ফলের রসালো স্বাদ নিতে ক্রেতারা ভিড় করছেন কাঁঠালের বাজারে।

রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন স্থান রোয়াজারহাট, চন্দ্রঘোনা, রাজার হাট, শান্তিরহাট, গোজরা, চৌমুহনী, ধামাইর হাট, ক্ষেত্রবাজারসহ আরও নানা বাজারের ফলের দোকানগুলো কাঁঠালে ভরপুর। আর এই কাঁঠাল আসছে পার্বত্য জেলা ও আশপাশের বিভিন্ন কাঁঠাল বাগান হতে। বাগান হতে বাজারে আসার পর কাঁঠালগুলো দ্বিগুন মূল্যে বিক্রির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা প্রায় ছয়মাস আগেই কাঁঠালবাগান ক্রয় করেন। ফলে বেশিদিন তাদের টাকা খাটানোর ফলে দামও একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও কাঁঠাল ভর্তি এক একটি ট্রাকে চাঁদা, টোল ও অন্যান্য ব্যায় সহ প্রায় ৩০০- ৪০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ব্যায় হচ্ছে বলে জানান তারা। যার কারনে প্রতিটি কাঁঠালের ব্যয়মূল্য প্রায় ২০-৩০ টাকা বেড়ে যাচ্ছে। বাজারে এখন প্রতিটি কাঁঠাল ৪০-৮০ টাকা এবং ক্ষেত্রবিশেষে ৮০-১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আবার পাইকারদের অনেকেই চট্টগ্রামসহ চাহিদা আছে এমন বাজারে ট্রাক, পিকাপ, ভ্যান ও সিএনজি যোগে অন্যান্য বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন।

বাজারগুলো ঘুরে কয়েকজন কাঁঠাল ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, মৌসুমের মাঝামাঝি সময় বলে এখন কাঁঠালের স্বাধ ভাল হওয়ায় নিজের পরিবারের জন্য ও চট্টগ্রামের ঐতিহ্য হিসেবে মৌসুমী ফল নিয়ে আত্বীয় বাড়িতে বেড়াতে যেতেও এ ফল কিনছেন তারা। তবে সচেতন কয়েকজন ক্রেতা দাবি করছেন, কাঁঠাল দ্রুত পাকার জন্য বিশেষভাবে কাঠালের ভেতরেই ফরমালিন ব্যবহার করছে ব্যবসায়ীরা। তবে বিক্রেতারা এ দাবি অস্বীকার করছেন।

Exit mobile version