parbattanews

রাজস্থলীতে আমন ধানের বাম্পার ফলন : কৃষকের মুখে হাসি

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন রাজস্থলীতে ফসলের মাঠে এখন সবুজের সমারোহ। এরই মধ্যে ধান পাকা শুরু হয়ে কৃষকরা ধান কাটায় মাতোয়ারা হয়ে পড়েছে। যতদুর চোখ যায়, সবুজ আর সোনালী ধানের সমুদ্রও চোখে পড়ে। বিগত কয়েকদিন আগে বৃষ্টিতে কৃষি মাঠের সামান্য ক্ষতি হলেও সামগ্রিকভাবে আমনের গাছ ভাল রয়েছে জানায়, কৃষি অফিস। আমনের বাম্পার ফলন হওয়াতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা।

রাজস্থলী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে রাজস্থলীতে ৯১৩ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ মাত্রা থাকলেও সম-পরিমান চাষ হয়েছে হেক্টর জমিতে । এছাড়া চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়ার পাশাপাশি শস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে রাজস্থলী উপজেলা। রাজস্থলী উপজেলার এক কৃষক জানান, তিনি ২ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করে চাষাবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের বাম্পার ফল হয়েছে বলে তিনি ব্যক্ত করেন। এদিকে ধান কেটে ঘরে তুলতে ধুমধাম ব্যস্ত কৃষকরা। তারা শ্রমিক নিয়োগে দরদাম করে প্রতি শ্রমিক ৭০০-৮০০ টাকা করে ধান কাটার জন্য নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও কানি প্রতি ২০০০ টাকা করে নিচ্ছেন তারা। সংঘবদ্ধ ১৫-২০ জন তাদের দল থাকে।

উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নন্দিয় প্রভা তঞ্চঙ্গ্যা জানান, রোগবালাই থেকে রক্ষা করে ফলন কিভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে কৃষকদের মাঝে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আমন চাষের পাশাপাশি স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্টিরা পাহাড়ের উঁচুতে জুম চাষ করে তাও ধানের বাম্পার ফলন করে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসিবুল হাসান জানান, রাজস্থলীতে এবার উচচ ফলনশীল ও উপসী জাতের আমন চাষ হয়েছে। শুধুমাত্র ৯১৩ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন চাষ হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আমন চারা রোপন করা হয়। এরই মধ্যে ২ শতাংশ আমন কাটিং সম্পূর্ণ হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পাকা ধান কাটা শুরু হয়ে যাবে। আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি অর্জিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি সাপ্তাহিক ২ দিন আমন চাষীদের সাথে মাঠে ময়দানে মতবিনিময় করেন।

Exit mobile version