parbattanews

রাজস্থলীতে বন্য হাতির আক্রমণে কলা বাগান ধ্বংস

রাঙামাটির রাজস্থলীর তিন নম্বর বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের নাইক্যছড়া পাহাড়ি অঞ্চলে বন্য হাতির আক্রমণে ধ্বংস হয়েছে প্রায় ৪টি কলা বাগান।

গত শনিবার দিবাগত রাত ২টার সময় প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাহাড় ও লোকালয়ে তাণ্ডব চালায় হাতির পাল। এতে কলা বাগানের মালিকের প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে বাগান মালিকরা জানান।

বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, হাতির আবাসস্থল ও খাদ্য কমে যাওয়া, চলাচলের পথ বাধাগ্রস্ত, সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া ও ফাঁদ পেতে হাতি হত্যাসহ নানা কারণে লোকালয়ে নেমে আসছে বন্য হাতির পাল।

বাগান মালিকরা ও ধান রোপনের কৃষকরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে হাতির পাল পাহাড়ি অঞ্চলে আমবাগান, কলাবাগান ও আমন ধানের খেতে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। কলা গাছ খেয়ে শত শত কলা গাছ উপড়ে ফেলেছে। ছাড়াও লিচুবাগান ও আম বাগানে আক্রমণ চালিয়েছে হাতির পাল।

নাইক্যছড়া পাড়ার কৃষক চিংবোইপ্রূ মারমা বলেন, আমার ৪/৫ একর কলাবাগানে তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় দুই শতাধিক কলা গাছ ধ্বংস করে দিয়েছে হাতির পাল। অপর দিকে আমগাছ সবকটি গাছ উপড়ে ফেলেছে। গাছগুলো থেকে প্রতি বছর ৪-৫শ কেজি আম পেতাম। ফলন আরো ভালো হলে গাছ আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু হাতির আক্রমণে তা ভেস্তে গেছে।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন পরিশ্রমের ফলে তিল তিল করে গড়ে তুলেছি শখের কলাবাগান। বন্য হাতির আক্রমণে তা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রায় ২০০ গাছে উপড়ে ফেলেছে বন্যহাতির পাল।

রাঙামাটি, বান্দরবান ও রাঙ্গুনিয়ার কাপ্তাই পাহাড়ি অঞ্চল একই সীমা রেখায় অবস্থিত বিধায় ভৌগোলিক দিক থেকে রাজস্থলীর পাহাড়ি অঞ্চল হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাহাড় কেটে সড়ক ও নতুন বাড়িঘর নির্মাণের কারণে জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় হাতির বিচরণক্ষেত্র নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বাগান ও লোকালয়ে এসে হাতি ক্ষয়-ক্ষতি করছে।

হাতি তাড়ানোর বিষয়ে বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Exit mobile version