parbattanews

রাতজাগা ব্যস্ত সময় পার করছেন সেলাই কারিগররা

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাতজাগা ব্যস্ত সময় পার করছেন রাঙ্গামাটির টেইলার্স মাস্টার ও সেলাই কারিগররা। পবিত্র রমজান মাস এলেই তাদের কাজের কোন সীমা থাকে না।

ঈদে পছন্দের ডিজাইন আর বাহারি রঙের কাপড়ের পোশাক তৈরি করতে সব বয়সীরাই ভিড় জমাচ্ছেন দর্জির দোকানগুলোতে। সবাই চায় তার পোশাকটি হোক স্পেশাল। এতে এখন তুমুল ব্যস্ততায় সময় পার করছেন রাঙ্গামাটি বিভিন্ন দর্জি দোকানের কারিগররা। সকাল ৯ টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যায় ইফতার করে মেশিনে বসতে হয়। আবার ভোরে সেহেরির জন্য মেশিন থেকে উঠতে হয়। বাকি সময় কখন চলে যায় তা মালুমই করতে পারেন না কারিগররা।

এখন রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকার দর্জি দোকানে কান পাতলেই কেবল মেশিনের শব্দ।

রোববার (৩ জুন) রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন দর্জি দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেলো, রাতজাগা এসব ব্যস্ততা। দোকানের ভেতর ও চারপাশে জমে আছে তৈরি পোশাকের স্তুপ। সময় আরও ১২ দিন বাকি থাকায় এখনো আসছে একের পর এক অর্ডার। দোকানের কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ সেলাই করা নিয়ে ব্যস্ত কেউবা আবার কাপড় ইস্ত্রি এবং বোতাম লাগানোর কাজে ব্যস্ত।

এদিকে, ঈদের অতিরিক্ত পোশাকের চাহিদার কারণে প্রায় প্রতিটি দোকানে নির্দিষ্ট বেতনভুক্ত কারিগরের পাশাপাশি নিয়োগ করা হয়েছে পার্ট টাইম কারিগর। কাপড় কাটছেন কাটিং মাস্টার।

রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপাস্থ মসজিদ মার্কেটের চৈত্রী টেইলার্স এর স্বাত্তাধিকারী মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, রাঙ্গামাটিতে সারা মাসের তুলনায় এ মাসে আমাদের কাজ বেশী থাকে। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যায় ইফতার করে মেশিনে বসতে হয়। আবার ভোরে সেহেরির জন্য মেশিন থেকে উঠতে হয়। বাকি সময় কখন চলে যায় তা মালুমই করতে পারি না। এবার ঈদকে সামনে রেখে সালোয়ার কামিজ ১ হাজার থেকে ১২’শ টাকায়, জিপসি ৮’শ থেকে ৯’শ ও কোণা কাটা ও চুরিদার ২’শ থেকে ৩’শ টাকায় তৈরি করা হচ্ছে।

লিজা বুটিকস এন্ড অল্টার হাউসের এর স্বাত্তাধিকার জসিম উদ্দিন বলেন, আমার কাজের চাপ বেশি থাকায় আমি কাজের অর্ডার নিতে পারছি না। আমি শুধু পাঞ্জাবি-পায়জামা সেলাই করি। যার মূল্য ৬’শ থেকে ৭’শ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

শহরের বনরূপাস্থ মসজিদ মার্কেটের লিজা লেডিস টেইলার্স এন্ড বুটিকস হাউসের স্বাত্তাধিকার মো. আব্দুর জব্বার বলেন, সারা বছর আমাদের ব্যবসা ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে চললেও পবিত্র শবে বরাত থেকে এই রমজান মাস পর্যন্ত আমাদের ব্যবসা জমজমাট।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, রাঙ্গামাটিতে ঘন ঘন লোডশেডিংর কারণে আমাদের কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে, যেহেতু আমাদের বেশিরভাগ মেশিনই বৈদ্যুতিক সংযোগে চলে।

Exit mobile version