parbattanews

রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখলেন তালা দেওয়া !

গতকাল রাত ৩টা। বাতাসের গতি বাড়ছে কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা চকরিয়ায়। তাই পরিবার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছিলেন চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আবুল হোসেন। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী তিনি কোনাখালী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ফুলছড়ি আশ্রয়কেন্দ্রে যান। গিয়ে দেখেন আশ্রয়কেন্দ্রে তালা দেওয়া।

এরপর আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরেই তিনি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন। উপায় না দেখে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন। পুলিশ গিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের তালা খোলার ব্যবস্থা করেন। অবশেষে তিনি পরিবার নিয়ে সেখানে আশ্রয় নেন।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবুল হোসেন বলেন, `ঘূর্ণিঝড় আসছে শুনেও আশ্রয়কেন্দ্রটি বন্ধ রাখা হয়েছে। পরে আমি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিই। পুলিশ এসে আশ্রয়কেন্দ্রটি খুলে দেয়।’

চকরিয়ার মতো হাতিয়াতেও একই ঘটনা ঘটেছে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা থেকে মো. বাবুল উদ্দিন নামে এক তরুণ গতকাল রাত ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে জানান, হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রটি তালা দেওয়া। অনেকেই আশ্রয় নিতে এসে ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ ফোনটি পেয়ে স্থানীয় থানা-পুলিশের সঙ্গে বাবুলের কথা বলিয়ে দেন। স্থানীয় থানা-পুলিশ গিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের তালা খোলার ব্যবস্থা করে।

বাবুল উদ্দিন  বলেন, ‘‌হাতিয়া অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ এলাকা। এখানে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভয়াবহ রূপ নেয়। সে জন্য মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চায়। কিন্তু এত বড় ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনেও কর্তৃপক্ষ আশ্রয়কেন্দ্রটি তালা দিয়ে রেখেছিল। তাই আমি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কথা বলেছি। পুলিশ এসে আশ্রয়কেন্দ্রটি খোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।’

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ গত শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার আপডেট তথ্যের জন্য কয়েক লাখ মানুষ ফোন দিয়েছেন। তবে মোখা সংক্রান্ত ঘটনায় সরাসরি সাহায্যের জন্য শুক্রবার থেকে রোববার সকাল ১১টা পর্যন্ত ৩৯ জন মানুষ ফোন দিয়েছেন। এদের বেশির ভাগ আশ্রয়কেন্দ্রের বিষয় অভিযোগ করেছেন।

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, `আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য জানতে অগণিত কল আসছে। আমরা সবাইকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছি। কিছু কলারকে আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়।’

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ থেকে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। আজ এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।

সূত্র: আজকের পত্রিকা

Exit mobile version