parbattanews

রাতে মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধ বিমানের তাণ্ডব, আতঙ্কে সীমান্তবাসী

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, আশার তলী সীমান্ত পয়েন্টের বিপরীতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর যুদ্ধ বিমান সে দেশের বিদ্রেহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে লক্ষ্য করে গোলা ছুড়েছে। রবিবার (৬ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টায় এ গোলা বষর্ণের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজনের দাবি রাত নামলেই শুরু হয় মিয়ানমার সেনাবাহিনীরর যুদ্ধ বিমানের তাণ্ডব। রাতের ঘুম হারাম করে সে দেশের আরাকান আর্মির বিচরণ ও যুদ্ধ বিমানের গোলা এবং মর্টার শেলের বিকট শব্দ। কখন জানি যুদ্ধ বিমান থেকে গোলা এসে পড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।

সীমান্তের জামছড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল আমিন ও আবদুল কাদের এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতি রাতে নতুন নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি বাংলাদেশ সীমান্তে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার (৬ নভেম্বর ) গভীর রাতে রাখাইন প্রদেশের মংডু জেলার উত্তরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পিলার ৩৭, ৩৮, ৩৯ এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধ বিমান হতে ভারী গোলা বর্ষণ করে। এর একটি যুদ্ধ বিমান মিয়ানমার থেকে এসে জামছড়ি পয়েন্টের জিরো লাইনের উপর দিয়ে মিয়ানমারে ফিরে যায় এবং গোলা বর্ষণ করে। যার ফরে প্রধান ঝিরি ও ঘুমধুমের কোনার পাড়া, মধ্যম পাড়া ও উত্তর পাড়ার বসতিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনের দাবি মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাতের আধারে সামরিক ড্রোন ও ব্যবহার করছে।

মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান আর্মি (এএ) গত সপ্তাহে সে দেশের একটি বিজিপি ক্যাম্পে হামলা চালানোর পর থেকে ছোট ছোট ক্যাম্প এখন সেনা শূন্য হয়ে পড়েছে বলে এক রোহিঙ্গা নেতা দাবি করেছেন। তবে এ ঘটনায় মিয়ানমারের ভেতরে হতাহত হয়ছে কিনা কোন সঠিক তথ্য জানা যায়নি।

সীমান্তের চাকঢালা-ফুলতলী-পাইনছড়ি পয়েন্টে দায়িত্বরত ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম এ প্রতিবেদককে জানান, তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় রাতে গোলাগুলি ও যুদ্ধ বিমানের আওয়াজ লোকজন শুনেছেন তবে দিনে নয় রাতে। তবুও তিনি তার দায়িত্বপূর্ণ পুরো এলাকায় বিজিবি টহল জোরদার রেখেছে। নজরদারিও বাড়িয়েছেন বলে জানান তিনি।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, যুদ্ধ বিমান জিরো পয়েন্ট দিয়ে রাতের বেলায় কয়েকটি গোলা নিক্ষেপ করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফিরে যায়। তবে এতে বাংলাদেশের কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তিনি খবর পাননি। এ পরিস্থিতিতে এলাকার কোনো বাসিন্দাকে সীমান্ত এলাকায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সীমান্তে বিজিবি সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

Exit mobile version