parbattanews

রামগড়ে অনাগত সন্তানের স্বীকৃতি চাইতে গিয়ে হুমকির মুখে ধর্ষিতা কিশোরী ও পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়ির রামগড়ে রহিমা আক্তার নামে এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ৬ মাসের অন্তঃসত্বা কিশোরী রহিমা আক্তার তার অনাগত সন্তানের স্বীকৃতি চাইতে গিয়ে এখন পুরো পরিবার উল্টো হুমকির মুখে চরম নিরাপত্তাহীতায় দিন পার করছে।

বৃহস্পতিবার(৩১ আগস্ট) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন, ধর্ষিতা কিশোরী ও তার পরিবার। সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষককে সহযোগিতারও অভিযোগ করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে ধর্ষিতা রহিমা বেগম, তার পিতা আহসান উল্লাহ ও বড় ভাই আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, জেলার রামগড় উপজেলার ফেনীর কুল গ্রামের বাসিন্দা রিক্সা চালক আহসান উল্লাহ’র মেয়ে রহিমা আক্তারের সাথে পাশ্ববর্তী মোস্তফা কামাল প্রকাশ বৈদ্য’র ছেলে আরমান হোসেন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে। রহিমা আক্তার  সারা না দেওয়ায় ধর্ষক আরমান হোসেন আত্মহত্যারও চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে রহিমা আক্তার সরল বিশ্বাসে আরমান হোসেনের ডাকে সারা দিলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। এতে রহিমা আক্তার অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে আরমান হোসেন বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।

এ নিয়ে কয়েক দফা গ্রাম্য সালিশও হয়। কিন্তু আরমান হোসেনের পরিবার রহিমা আক্তারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করলে গত ১ লা আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়। পুলিশ আসামি আরমান হোসেনকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়।

রহিমা আক্তার জানান, আরমান হোসেনের পরিবার খুবই প্রভাবশালী। তাদের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা আমার নেই। আমি শুধু আমার অনাগত সন্তানের স্বীকৃতি চাই। অর্থ-সম্পদসহ আর কোন দাবি আমার নেই। রহিমা আক্তার এ স্বীকৃতি লড়াইয়ে নারী সংগঠনসহ সকল বিবেকবান মানুষের সহযোগিতা চান।

কিন্তু রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করে শীঘ্রই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানান।

Exit mobile version