রামগড়ে অস্ত্রসহ আটক রকিই ফেনীর দু’ব্যক্তি অপহরণের মূল হোতা সজল ত্রিপুরা

fec-image

খাগড়াছড়ির রামগড়ে বুধবার সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক রকি ত্র্রিপুরাই হচ্ছে ফেনীর জুয়েল ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মচারিকে অপহরণ ঘটনার মূল হোতা সজল ত্রিপুরা। আটকের পর সে নিজেকে রকি ত্রিপুরা বলে পরিচয় দিলেও অপহরণের শিকার রাজু তাকে সজল ত্রিপুরা বলে শনাক্ত করেছেন।

পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদেও সে সজল ত্রিপুরা বলে স্বীকার করে। যৌথ অভিযানে আটক তার অপর দুই সঙ্গী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের(ইউপিডিএফ) প্রসীতথীসা গ্রুপের চাঁদা কালেক্টর খাগড়াছড়ির দীঘিনালার রাজেন্দ্র কারবারীপাড়ার ‍দুলা ত্রিপুরার ছেলে জুয়েল ত্রিপুরা(২৩) ও গুইমারার দেওয়ানপাড়ার উলা অং মারমার ছেলে চাথো অং মারমা(৩০)ও ওই অপহরণ ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

যৌথবাহিনী তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, চাঁদা আদায়ের রশিদ বই ও নগদ টাকাসহ সংগঠনটির বিভিন্ন গোপন নথিপত্র জব্দ করে। বুধবার ভোররাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রামগড়ের গরুকাটা নামক দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের আটক করে।

যৌথবাহিনীর হাতে আটকের পর সজল ত্রিপুরা তার নাম গোপন করে রকি ত্রিপুরা বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু বুধবার রাতে রামগড় থানায় হস্তান্তরের পর পুলিশ তার প্রকৃত নাম পরিচয় উদঘাটন করে। আটক তিনজনকে অপহরণ মামলায় গ্রেফতার দেখানো ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

গেল ২৩ আগস্ট ফেনী থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে রামগড়- জালিয়াপাড়া সড়কের যৌথখামার এলাকায় ইউপিডিএফের পোস্ট কমান্ডার সজল ত্রিপুরার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ফেনীর জুয়েল ট্রেডার্সের প্লাস্টিক ডোর (দরজা)বাহি পিকআপ গাড়ি আটকিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় প্রতিনিধি ও চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর ওবায়দুল হকের ছেলে মঞ্জুরুল আলম (৩৫) ও কমর্চারি নোয়াখালীর সুধারামের মো. রাজু(২৮) অস্ত্রেরমুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এর র্দীঘ ৩৩দিন পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর পাঁচ লক্ষ টাকার মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, আটককৃতরা সকলেই ফেনীর দুই ব্যক্তির অপহরণ মামলার আসামি। তিনি আরও বলেন, অপহরণ ঘটনার মূল হোতা সজল ত্রিপুরা আটকের পর নিজের নাম পরিচয় গোপন রাখার চেস্টা করে। সে প্রথমে নিজের নাম রকি ত্রিপুরা বলে জানায়। পরে অপহৃত রাজু ছবি দেখে তাকে সজল ত্রিপুরা বলে সনাক্ত করেন। অপহরণ মামলায় গ্রেফতার দেখানো ছাড়াও এদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও চাঁদাবাজি আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে নতুন দুটি মামলা রুজুর করা হয়েছে।

অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রামগড় থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মজিবুর জানান, বৃহস্পতিবার(৮ অক্টোবর) আসামীদের আদালতের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, অপহরণসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে তিন আসামীর রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অপহরণের, অস্ত্রসহ, আটক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন