খাগড়াছড়ির রামগড়ে সখের বশে কোয়েল পালনকারী আবুল কালাম(৬৬) এখন একজন সফল খামারী। উপজেলায় সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে এ কোয়েল খামার করে তিনি এলাকায় বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। কোয়েল এবং ডিম দু’টিরই চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এক সময়ের নির্মাণ শ্রমিক আবুল কালামের এখন কোয়েল লালন পালনই পেশা।
তিনি জানান, তার খামারের বয়স মাত্র ১১ মাস। এরইমধ্যে সফলতা অর্জন করেছেন তিনি। কলেজ পড়ুয়া পুত্রের সখের বশে কোয়েল পালন থেকেই গড়ে উঠে তার খামারটি। রামগড় পৌরসভা চৌধুরিপাড়াস্থ নিজ বাড়িতেই গড়ে তোলেন খামারটি।
বর্তমানে তার খামারে আছে প্রায় দেড় হাজার কোয়েল। এরমধ্যে অনেকগুলোই ডিম দিচ্ছে। ঢাকা ও কক্সবাজার হতে বাচ্চা কিনে এনে খামারে লালন পালন করে বড় করেন তিনি। এখন খামারেই ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
এরজন্য মেশিনও সংগ্রহ করেছেন। আবুল কালাম বলেন, তিনি নিজেই খামার পরিচালনা করেন। এক জোরা কোয়েল ১৮০-২০০ টাকায় এবং ১’শ ডিম ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করেন তিনি। এলাকায় এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পুঁজির অভাবে খামারটি সম্প্রসারণ করতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।
কোয়েলের পাশাপাশি এখন টার্কি মোরগ পালনও শুরু করেছেন তিনি। উৎসাহি লোকজন প্রতিদিনই তার খামারটি দেখতে আসেন। রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, তিনি নিজেও আবুল কালামের কোয়েল খামার পরিদর্শন করেছেন। এ সফল খামারীকে দেখে অনেকেই কোয়েল পালনে উৎসাহি হবেন বলেন তার বিশ্বাস।