খাগড়াছড়ির রামগড়ে গরু ছিনতাইয়ের মামলায় পৌর ও মাদ্রাসা ছাত্রলীগের দুই সহ সভাপতিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেছে পুলিশ। আলোচিত এ ঘটনার মাত্র ১২ দিনের মাথায় আসামিদের বিরুদ্ধে এ চার্জশীট দেয়া হল।
সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) রামগড় থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো: মুজিবুর রহমান সোমবার (১৯ আগষ্ট) এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
যাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় তারা হলেন, রামগড় পৌর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও কমপাড়া এলাকার মো: সাহাব উদ্দিনের ছেলে মো: কামরুল হাসান (২৭), রামগড় গণিয়াতুল সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও চৌধুপিাড়ার মুফতি মীর হোসেনের ছেলে শওকত হোসেন (১৮), মাস্টারপাড়ার মৃত মানিক মিয়ার ছেলে মামুন প্রকাশ পিচ্চি মামুন (২০), চৌধুরি পাড়ার শফিকুর রহমানের ছেলে নুরুল হুদা (২২), একই এলাকার মেহাম্মদ উল্লাহ সম্রাটের ছেলে রায়হান আহম্মদ হৃদয় প্রকাশ বাবু (১৯), দক্ষিণ গর্জনতলীর আবুল কাশেম প্রকাশ ঘোরা কাশেমের ছেলে মো: রমজান আলী (২৪) ও শশ্মান টিলার বকসু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবী বাবু (২১)।
এদের মধ্যে কামরুল, শওকত ও নুরুন্নবী গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছে। অপর চারজন বর্তমানে পলাতক। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারি অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন ২০১৯ এর ৪ (১) ধারায় সাত আসামির বিরুদ্ধে ১৪ আগষ্ট অভিযোগপত্র (চার্জশীট) (নম্বর-২৯) আদালতে দাখিল করা হয়। আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, এজাহার নামীয় অপর দুই আসামী একরামুল হক শান্ত (১৬) ও মো: তারেক রহমান (১৬) অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর অপরাধী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে দোষীপত্র দাখিল করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২ আগষ্ট কোরবানির হাটে বিক্রি করার জন্য আনুমানিক ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের দুটি ষাঁড় ও বলদ গরু ভুজপুরের বাগানবাজারে নেয়ার পথে রামগড়ের ফেনীরকূল মহামুনি এলাকায় পৌঁছামাত্র চার্জশীটভূক্ত আসামিরা মালিকের হাত থেকে জোরপূর্বক গরুগুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঐদিনই পৌর এলাকার গোলটিলা নামক স্থান থেকে ছিনতাই করা গরু দুটি উদ্ধার করে।
এ সময় তিন ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গরুর মালিক অংথৈই মগ বাদি হয়ে রামগড় থানায় ২ আগষ্ট একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, গরু ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ও চার্জশীটভূক্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন রামগড় উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো: কাউছার হাবিব শোভন। মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে জেলা নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়েছে। খুব সহসাই উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে এ বিষয়ে বৈঠক হবে। বৈঠকেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।