parbattanews

রামগড়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ, ধোলাই দিয়ে ধর্ষককে পুলিশে সোর্পদ

ধর্ষণের অভিযোগে আটক অহিদুর রহমান

খাগড়াছড়ির রামগড়ে এক গৃহবধু (২০) ধর্ষণের শিকার হযেছেন। ধর্ষক অহিদুর রহমান (৪৫)কে হাতে নাতে ধরে ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে লোকজন।

বৃহস্পতিবার(২৭ জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে  উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের মধুপুর নামক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার(২৮ জুন) ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি  জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ধর্ষক অহিদুর রহমান মধুপুর গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে এবং নাকাপা বাজারের মুদি দোকানদার। সে তিন সন্তানের জনক।

পুলিশ  জানায়,   মধুপুর  গ্রামে ভিকটিমের বাড়ির পাশে  নিজের বাগানে আসা যাওয়ার সুবাদে তার সাথে পরিচয হয় অহিদুর রহমানের। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভিকটিমের স্বামীকে বাজারে অবস্থান করতে দেখে অহিদ নিজের দোকানে কর্মচারিকে রেখে গোপনে ভিকটিমের বাড়িতে যায। গ্রীলবিহীন  জানালা দিয়ে সে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত ভিকটিমকে  ধর্ষণ করে।

এসময ওই গৃহবধূ  জেগে আর্তচিৎকার শুরু করলে অহিদ তাকে ভয়ভীতি দেখায়।ভিকটিম ৯ মাসের শিশু সন্তানের জননী। তার চিৎকারে শিশুটিও কান্নাকাটি করতে থাকে।  মা ও শিশু সন্তানের অর্তচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। এসময গৃহবধূর স্বামীও  ঘরে ফেরেন।  প্রতিবেশীদের সহায়তায় ভিকটিমের স্বামী ধর্ষক অহিদকে ঘর থেকে আটক করে উত্তম মধ্যম দেন।

পরে অহিদকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ভিকটিমের বাড়ি থেকে অহিদের বাড়ির দূরত্ব আধা কিলোমিটারের মত। ভিকটিম নিজেই বাদি হয়ে  ধর্ষক অহিদুরের বিরুদ্ধে রামগড় থানায় একটি  ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

রামগড় থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেক মো. আবদুল হান্নান জানান, ধর্ষণ মামলার ৯(১) ধারায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন আসামি। তিনি বলেন,  ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে আজ শুক্রবার খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  আসামীকে আদালতে সোপর্দ করার পর ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেল হাজতে পাঠিযে দেন।

Exit mobile version