parbattanews

রামগড়ে দায়সারাভাবে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন

 

রামগড় প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ির রামগড়ে মঙ্গলবার অত্যন্ত দায়সারাভাবে পালন করা হয়েছে  বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। উপজেলা সদর হতে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ক্যাম্পাসে যেনতেনভাবে পালন করায় সরকারের এ গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবসটি এলাকাবাসীর কাছে এবারও অজানা ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, সরকারিভাবে দেশব্যাপী  নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়। খাগড়াছড়ি জেলা সদরসহ জেলার অন্যান্য উপজেলায় যথাযথ গুরুত্বের সাথে জাতীয় এ দিবসটি পালিত হলেও রামগড়ে পালন করা হয় দায়সারাভাবে।

জানা যায়, সকাল পৌনে ১০টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্যাম্পাস হতে  র‌্যালি বের করে ২০-২৫ গজ হেঁটে পুনরায় কমপ্লেক্সে ফিরে যায়। শুধুমাত্র ফটো তোলার জন্যই নামসর্বস্ব র‌্যালিটির আয়োজন করা হয় বলে ওখানে উপস্থিত এক ব্যক্তি জানান।

তিনি আরও জানান, পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে একটি সভা হয়। ১০- ১৫ মিনিট স্থায়ী এ সভায়  বক্তা ছিলেন মাত্র তিনজন। এদের মধ্যে সভাপতির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল মামুন মিয়া, প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ভুইয়া এবং স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ মামুন। জনসংখ্যা দিবসের এ দায়সারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই হচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মচারী।

জানা যায়, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ মামুন প্রতি বছরই তার মনগড়াভাবে জাতীয় এ দিবসটি দায়সারা গোছে পালন করেন।

এদিকে, দায়সারাভাবে জাতীয় দিবসটি পালনের কারণে সাধারণ মানুষ গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের ম্যাসেজ থেকে বঞ্চিত হওয়ার কথা স্বীকার করে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন মিয়া বলেন, উপজেলা পরিষদ এলাকায় আয়োজন করা হলে অনেকেই দিবসটি সম্পর্কে জানতো।

উপজলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ মামুনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠান করার সরকারি বরাদ্ধ এখনও পাইনি। কবে পাবো তাও জানি না। তাই নিজের মত করেই অনুষ্ঠান করেছি। প্রতি বছরই এভাবে করি।’

পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলার উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়ুয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বরাদ্ধ না পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে মনগড়াভাবে একটি জাতীয় অনুষ্ঠান করবে তা হতে পারে না। সরকারের জন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাসেজ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং  মানুষকে সচেতন করতেই বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলো পালন করা হয়। সে ক্ষেত্রে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের মত একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস যেনতেনভাবে পালন করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা সদরে সাড়ম্ভরে দিবসটি পালন করা হয়। অন্যান্য উপজেলায়ও যথাযথভাবে দিবসটি পালন করা হয়েছে।  রামগড়ে দায়সারাভাবে  কেন পালন করা হল বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলেও তিনি জানান।

Exit mobile version