রামগড়ে পাহাড়িদের গাছ কেটে দেয়ার প্রতিবাদ ইউপিডিএফ সমর্থিত ৮ সংগঠনের

বিজ্ঞপ্তি:

পার্বত্য চট্টগ্রামে আন্দোলনরত ৮ সংগঠন আজ ১৭ জুন সোমবার এক যুক্ত বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের বড়পিলাক এলাকার বৈরাগী পাড়া ও চেঙ্গুলি পাড়ায় রবিবার রাতে সেটলার কর্তৃক পাহাড়িদের ১৫০টি ফলদ ও রাবার গাছ কেটে দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, গতকাল ১৬ জুন রবিবার রাতের কোন এক সময় সেটলার বাঙালিরা বৈরাগী পাড়ার বাসিন্দা ডা. ক্যসিং মারমার ব্যক্তিগত রাবার বাগানের কমপক্ষে ১০০টি ও পার্শ্ববর্তী চেঙ্গুলি পাড়ার বাসিন্দা চাইথোয়াই চৌধুরীর বাগানের ৫০টির মতো লিচু গাছ কেটে দেয়। এতে তাদের কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইন মোতাবেক শাস্তি দেয়ার দাবি জানান এবং বলেন, সেটলারদেরকে সমতলে পুনর্বাসন না করা পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

তারা সেটলার সংগঠনগুলোর হরতাল ও সড়ক অবরোধের নামে অরাজকতা সৃষ্টির সমালোচনা করে বলেন, ‘যেভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে তাতে পাহাড়িদের ভূমি অধিকার ফিরে পাওয়ার কোন সম্ভাবনা না থাকার পরও সেটলাররা এই সংশোধনীকে বাঙালিদের স্বার্থ-বিরোধী বলে মিথ্যা প্রচার করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।

মূলতঃ তারা যে পাহাড়িদের কাছ থেকে বেদখল করা হাজার হাজার একর জমির অণু পরিমাণও ছেড়ে দিতে রাজী নয় তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য ও রাজনৈতিক কর্মসূচীতে তা স্পষ্ট হয়েছে।’

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি নতুন কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি কণিকা দেওয়ান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি থুইক্য চিং মারমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা, সাজেক নারী সমাজের সভাপতি নিরূপা চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক শান্তি প্রভা চাকমা ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের সদস্য সচিব আনন্দ প্রকাশ চাকমা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন