parbattanews

রামগড়ে পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ৮ম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রীর

খাগড়াছড়ির রামগড়ে ৮ম শ্রেণীর এক মাদ্রাসার ছাত্রী পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে। বৃহষ্পতিবার(১৮ জুলাই) রাত ১২টা পর্যন্ত ভিকটিম থানায় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মাকর্তার কাছে পিতার হাতে যৌন নির্যাতনের মর্মস্পর্শী অভিযোগ জানাচ্ছিল।
পিতারুপী ঐ নরপশু গা ঢাকা দিয়েছে। উপজেলার খাগড়াবিলের নোয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভিকটিম মাদ্রাসা ছাত্রী অভিযোগ করে, তার দিনমজুর পিতা আবুল কাশেম(৪৩) গত ২ জুলাই রাতে জোরপূর্বক প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করে। ঐদিন গভীর রাতে তার শোয়ার কক্ষে এসে ধর্ষণ করতে চাইলে সে বাবার হাত পা ধরে ক্ষমা চায়। অনেক আকুতি মিনতি করলেও পিতারুপী ঐ নরপশুর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি অসহায় কন্যাটি। জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয় তাকে।

একইভাবে আরও ২-৩ রাত ধর্ষণের শিকার হয় সে। সর্বশেষ গত ১২ জুলাই গভীর রাতে তার শোয়ার কক্ষে ধর্ষণ করতে গেলে সে বাবাকে বলে কাল মাদ্রাসায় আমার কোরআন মজিদ পরীক্ষা। আমার সাথে খারাপ কাজ করবেন না। আমার সাথে এভাবে খারাপ কাজ না করে বিষ খাইয়ে আমাকে মেরে ফেলেন। কিন্তু নরপশু মেয়ের কোন কথাই শুনেনি। বরং ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে গলাটিপে হত্যা করে লাশ বস্তায়ভরে মাটিতে পুঁতে ফেলার ভযভীতি দেখায় সে।

ভিকটিম জানায়, ঘরের একটি কক্ষে তার মা বাবা থাকে, পাশের কক্ষে চার ছোটভাইকে নিয়ে সে থাকে। গভীর রাতে ওদের কক্ষে এসে সে তাকে ধর্ষণ করতো। ভিকটিম আরও অভিযোগ করে, তার মাও ঘটনা জানে। ধর্ষণের কাজে মাও তার বাবাকে সাহায্য করতো। সে চিৎকার চেঁচামেচি করতে চাইলে মা তার মুখ চেপে ধরতো।

ভিকটিম জানায, ১২ জুলাই সর্বশেষ ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরের দিন ঘটনাটি তার দাদীকে বলে। কিন্তু দাদীর কাছ থেকে সাড়া না পেযে ১৪ জুলাই তার চাচা ওমর ফারুককে জানায়। ১২ জুলাই ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকে সে রাতে দাদীর ঘরে থাকতো।

স্থানীয ইউপি মেম্বার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, বৃহস্পতিবার(১৮ জুলাই) ভিকটিমের চাচা ওমর ফারুক ঘটনাটি সমাজের সভাপতি কামাল উদ্দিনকে জানালে তারা সবাই জানতে পারেন। ইউপি মেম্বার আরও জানান, ঘটনাটি শোনার পর গ্রামের মুরুব্বিদের উপস্থিতিতে ভিকটিমের মুখে অভিযোগটি শোনেন তারা। মেয়ের মাও অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন তাদের কাছে।

পরে সমাজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভিকটিম ও তার মাকে থানায় নিরয় আসেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার খবর পেযে ঐ নরপশু আবুল কাশেম গা ঢাকা দেয়। তিনি জানান, ভিকটিম ঐ নরপশুর বড় মেয়ে। ৩ থেকে ৮ বছর বয়সের চারজন শিশুপুত্র আছে তার।

এদিকে, থানার ওসি(তদন্ত) বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত ভিকটিম ও তার মাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

ওসি (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বলেন, ভিকটিম ও তার মাকে আলাদাভাবে এবং সামনা সামনি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ভিকটিম একাধিকবার তার পিতার হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছে। তিনি আরও বলেন, ধর্ষক পিতাকে গ্রেফতার এবং মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে।

Exit mobile version