parbattanews

রামগড়ে প্রবাসীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, শাশুড়ি-ননদ পলাতক

attohotta
নিজস্ব সংবাদদাতা :
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় পৌরসভার কালাডেবা এলাকা থেকে পুলিশ রোববার রাত ৮টার দিকে এক প্রবাসীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। ওই গৃহবধূর নাম বিবি জোহরা(২৬)। তাঁর সাড়ে ৩ বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। স্বামী মো. শাহজাহান দুবাই প্রবাসী। স্বজনদের দাবি শ্বশুরবাড়ির লোকজন জোহরাকে হত্যা করে গলায় ওড়না বেঁধে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। এদিকে গৃহবধূ জোহরার শাশুড়ি ও ননদ ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশ বলেছে, লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, রোববার রাত ৮টার দিকে রামগড় পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের পূর্ব কালাডেবার দুবাই প্রবাসী মো. শাহজাহানের স্ত্রী বিবি জোহরার মৃতদেহ তার নিজ ঘরের সিলিংয়ের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে বাধা অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। পরে তারা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ঘটনাটি জানালে তিনি পুলিশকে খবর দেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রামগড় সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী হুমায়ুর রশিদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মাইন উদ্দিন খান পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই বাসার একটি কক্ষে বিবি জোহরা তার সাড়ে ৩ বছর বয়সী শিশু পুত্রকে নিয়ে থাকতেন। অন্যকক্ষে তার শাশুড়ি ও স্বামী পরিত্যক্তা ননদ থাকেন। ঘটনার পর শাশুড়ি খোরশেদা বেগম ও ননদ ফাতেমা বেগম শিশু পুত্রটিকে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।

বিবি জোহরার বড় ভাই জুলখার নাঈম অভিযোগ করে বলেন, ৭-৮ বছর আগে  শাহজাহানের সাথে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জোহরাকে কারণে অকারণে নির্যাতন করতো। এনিয়ে গ্রাম্য শালিসও হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, শাশুড়ি ও ননদ মিলেই জোহরাকে হত্যা করেছে। জোহরা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আবুল বাসার জানান, শাশুড়ি বউয়ের মধ্যে বনিবনা ছিল না। প্রায়শই ঝগড়া-কলহ হতো। দুবাই প্রবাসী স্বামী শাহজাহান গত ৬-৭ মাস আগে দেশে ফেরার পর পারিবারিক কলহ মিটিয়ে গিয়েছিলেন। সে সময় বউ ও শাশুড়িকে পৃথক করে দেয়া হয়। এরপর মাস চারেক আগে তিনি দুবাই ফিরে যান।

রামগড় থানার উপ পরিদর্শক(এসআই) মোবারক হোসেন জানান, প্রাথমিক সুরতহালে জোহরার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই, এটি হত্যা না কি আত্মহত্যা  তা লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।

Exit mobile version