খাগড়াছড়ির রামগড় পৌর এলাকায় ৪ দিনের ব্যবধানে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪০ লক্ষ টাকা বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। গ্যাসের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্র পাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রবিবার(১৫ মার্চ) বেলা ২টার দিকে পৌর শহরের উপকন্ঠে আনন্দপাড়ায় এ অগ্নিকাণ্ডে ৬টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন জানান, রবিবার বেলা ২টার দিকে রামগড় বাজার সংলগ্ন আনন্দপাড়া এলাকায় রুহুল আমিন মানিক মিয়ার বসতবাড়ির ভাড়াটিয়ার রান্নাঘরের গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত আশেপাশের টিনসেডের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
ঐসময় বাড়ির মালিক সপরিবারে অন্যত্র ছিলেন। এক ভাড়াটিয়া পরিবারই বাড়িতে ছিলো। আগুনে ঐ বাড়ির ৪টি বসতঘর পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে যায়। পরে আগুনের লেলিহান শিখা পার্শ্ববর্তী ডাক্তার বাদল চক্রবর্তীর বসতবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে তাদের দুটি টিনের ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দুটি বসতবাড়ির কেউ ঘরের কোন জিনিসপত্র রক্ষা করতে পারেনি।
ডাক্তার বাদল চক্রবর্তী জানান, তার নগদ ৮৫ হাজার টাকা পুড়ে গেছে। নিজের হার্টের চিকিৎসার জন্য আজই ব্যাংক থেকে টাকাগুলো তুলে এনেছিলেন। আগ্নিকাণ্ডের সাথে সাথে এলাকার লোকজন প্রাণপণে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।
পরে রামগড় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। এক-দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
রামগড় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ ডলার ত্রিপুরা বলেন, ‘রান্নাঘরের গ্যাসের চুলা হতে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছি।’ তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের দাবি, আগুনে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে তাদের।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আ.ন.ম বদরুদ্দোজা, রামগড় পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ শাহজাহান কাজী রিপন প্যানেল মেয়র আহসান উল্লাহ, কাউন্সিলর কনিকা বড়ুয়াসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য যে, এর আগে গত বুধবার (১১ মার্চ) রান্নাঘরের লাকড়ির চুলা হতে আগুনের সূত্রপাত হয়ে পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বৈরাগী টিলা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৬টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়।