খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর গর্জন তলীর বিধবা শুকলা পালের একমাত্র বসত ঘরটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মাথা গোঁজার শেষ অবলম্বনটি ভস্মীভূত হওয়ায় অসহায় এ মহিলা এখন দিশেহারা।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি ) রাতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে শুকলা পাল রান্নাঘরে ছেলে অনয় পালসহ রাতের খাবার খেয়ে শয়নকক্ষে ঘুমাতে যায়। ছেলে অনয় হঠাৎ রান্না ঘরে আগুন দেখে চিৎকার শুরু করে। পরে আশপাশের মানুষ এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দমকলকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে ঘরের আসবাবপত্রসহ সব জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিল মো. জিয়াউল হক জিয়া বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে পরিবারটি পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি, পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম কামাল ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান। তারা তৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে নগদ অর্থ ও শীতবস্ত্র দেন।
রামগড় ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। আগুনের প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান শুকলা পাল দাবী করেন। মাথা গোঁজার ঠাঁই একমাত্র বসতঘরটিসহ সর্বস্ব হারিয়ে এ অসহায় বিধবা মহিলা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
